ময়নাগুড়ি থেকে আসানসোল, তৃণমূল-বিজেপি মারামারি চলছেই
গতকাল ময়নাগুড়ি কলেজে ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর দু'জন সমর্থককে ফর্ম তুলতে বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রথমে বচসা, তার পর হাতাহাতি বেধে যায়। এই সূত্রে ময়নাগুড়ির বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। শাসক দলের স্থানীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বিজেপি সমর্থকরা। পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনে।
ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে আসানসোলের বি বি কলেজেও সংঘর্ষ বাধে। আদিত্য পাণ্ডে ও ইন্দ্রজিৎ টুডু নামে দুই ছাত্রকে টিএমসিপি (তৃণমূল ছাত্র পরিষদ) ফর্ম তুলতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদ করে এবিভিপি। শুরু হয়ে যায় মারামারি। অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ ডাকতে হয়।
নদীয়া জেলার ধানতলা থানার অন্তর্গত কামালপুরে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, এখানে বিজেপি-র পতাকা খুলে ফেলে দেওয়া হয়। তার পরই বিজেপি কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর। মারামারিতে দু'পক্ষের অন্তত সাতজন গুরুতর জখম হয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা সৈকত সরকার বলেন, "তৃণমূলই এই গণ্ডগোল বাধিয়েছে। ওরাই প্রথম প্ররোচনা দেয়।" কিন্তু নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা শাসক দলের নেতা বাণীকুমার রায় বলেছেন, "প্রথমে এটা সাধারণ গ্রাম্য বিবাদ ছিল। বিজেপি-ই এতে নাক গলিয়েছে। তাই এত বড় ঝামেলা হয়েছে। ওরাই দায়ী।"
অন্যদিকে, বীরভূমের ইলামবাজার এলাকাতেই ফের দু'দলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার ইলামবাজারের কানুর গ্রামে বিজেপি কর্মী শেখ রহিম খুন হয়েছিলেন। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গতকাল দুপুরে সেখানে যান তৃণমূল নেতারা। অভিযোগ, তাঁরা উসকানি দেন। রাতেই বিলাতী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আছাইপাড়া গ্রামে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। প্রাণভয়ে রাতে অনেকে গা ঢাকা দেন। কিন্তু বুধবার সকালে বিজেপি সমর্থকরা বাঁশ, লোহার রড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।