সুন্দরবনে বৃষ্টির আশায় পালকিতে চড়ে সাত জোড়া ব্যাঙের বিয়ে হল
'কালি মেঘা কালি মেঘা পানি দে বর্ষা', বহুল জনপ্রিয় এই গানই বৃষ্টি আনার মুখ হয়েছিল রঙিন পর্দায়। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনাবৃষ্টি আজ যেন বাস্তব হয়ে দাড়িয়েছে।
'কালি মেঘা কালি মেঘা পানি দে বর্ষা', বহুল জনপ্রিয় এই গানই বৃষ্টি আনার মুখ হয়েছিল রঙিন পর্দায়। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনাবৃষ্টি আজ যেন বাস্তব হয়ে দাড়িয়েছে। একদিকে অনাবৃষ্টির জেরে যখন বিপন্ন কৃষিজ কাজ, পর্যাপ্ত জলের অভাবে কৃষি জমি ফুটিফাটা, অন্যদিকে সুন্দরবনের মিষ্টি জলের সংকটে বিপন্ন হচ্ছে বন্য প্রাণ।
তাই সবুজ বাঁচাও অভিযানে বৃষ্টির অভাবে মাথায় হাত পড়া চাষিরা বৃষ্টির আনতে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ গোবিন্দ কাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মালেকান গুমটি গ্রামে সাত জোড়া ব্যাঙের বিয়ে দিল। গ্রামের দুই বাসিন্দা গৌতম মন্ডল ও শফিকুল ইসলাম উদ্যোগে এই ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় সুন্দরবন।
পাশের গ্রাম থেকে পালকি চড়ে বরের সাজে আসে বর।রীতিমতো কনের সাজে সাজানো হয় মেয়ে ব্যাঙদের। রীতিমতো তৈরি হয় প্যন্ডেল, চারিদিকে লাইটের চমক। আসে বরযাত্রীও। মেয়ের বাড়ির সানাইয়ের আওয়াজ রূপ দিল একটা আস্ত বিয়ের।
বিয়ে দেখতে ভিড় জমে সুন্দরবনের এই গ্রামে। বিয়ে উপলক্ষে কোন ছেলে-মেয়ে সামাজিক যে অনুষ্ঠান যেভাবে হয় বিয়ে। সেইভাবে আয়োজন হল পুরোহিত ডেকে সামাজিক নিয়ম মেনে। কন্যাদান থেকে শুরু করে হস্ত বন্ধন মালা বদল সিঁদুর দান অগ্নিসাক্ষী।
গ্রামের মানুষ আর বিয়ে উপলক্ষে প্রায় বারোশো লোক পাত পেতে খেলো। মেনুতে ছিল ভাত ডাল মাছ মাংস চাটনি পাপড় অবশেষে দই রসগোল্লা পান।