কালই মুর্শিদাবাদ-যুদ্ধ, জেলা পরিষদ কার? নির্ণয় হবে ভোটেই
কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর : ভোটই নির্ণায়ক। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ যুদ্ধ। সম্মুখ সমরে কংগ্রেস ও তৃণমূল। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে ভোটাভুটি হচ্ছেই। হাইকোর্টের তরফ থেকে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ মিলল না। ফলে আইনি পথে প্রতিরোধের চেষ্টা ব্যর্থ কংগ্রেসের। তাই নজর এবার ভোটেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই বলে দেওয়াই যায় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে সরকারিভাবে তৃণমূল পতাকা ওড়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
অধীর-গড়ে অসহায় আন্তসমর্পণ ঘটেছে কংগ্রেসের। এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তৃণমূল। কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে হাত বদলেছেন সিংহভাগ সদস্যই। তবু গড় সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিল দল। সেই চেষ্টায় শেষ সম্বল ছিল আইনি লড়াই। সেখানেও ধাক্কা। আদালতের নির্দেশে ২৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার জেলা পরিষদে অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি হচ্ছেই। বুধবারই হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায় জেলা সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদারের আবেদন।
কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে অধীর গড়ে কিস্তিমাত করেন মমতার তাস শুভেন্দু অধিকারী। একে একে কংগ্রেস ও বাম শিবির ভাঙিয়ে মু্র্শিদাবাদে তৃণমূল এখন ৩৯। আর কংগ্রেস কমে হয়েছে ১৪। বামেদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৬৯। জেলা পরিষদ দখলের ম্যাজিক ফিগার তাই ৩৫। তৃণমূলের হাতে রয়েছে আরও ৪টি আসন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদে অনাস্থা আনে তৃণমূল। ওইদিনই ভোটাভুটির দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেন ডিভিশনাল কমিশনার। তা নিয়ে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর। কিন্তু যেহেতু ভোটদান প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত, সেহেতু পরবর্তী শুনানির আগেই মুর্শিদাবাদ যুদ্ধের অবসান ঘটবে। হাত বদল সুনিশ্চিত হয়ে যাবে অধীরের সাম্রাজ্যে।