কলকাতায় এন্ট্রি অ্যানাকোন্ডা সাপের, কীভাবে কোথায় গেলে দেখা পাবেন জানেন কি
এবার দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গল তোলপাড় করা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপ অ্যানাকোন্ডা দেখা যাবে খাস কলকাতায়।
নামটা শুনলেই একটা অন্যরকম কৌতুহল তৈরি হয়। ভয়ও গ্রাস করে। যাকে নিয়ে নানা জায়গায় নানা গল্প গাথা রয়েছে, হলিউডি ফিল্ম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় যা দেখতে চোখের পাতা পড়ে না। যাকে নিয়ে সম্প্রতি বাংলা চলচ্চিত্রেও তৈরি হয়েছে 'আমাজন অভিযান', সেই অ্যামাজনের অরণ্যে মৃত্যুদূত হিসেবে পরিচিত 'অ্যানাকোন্ডা'কে সামনে থেকে দেখতে কেমন অনুভব হবে তা সময়ের অপেক্ষা।
এবার দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গল তোলপাড় করা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপ অ্যানাকোন্ডা দেখা যাবে খাস কলকাতায়। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ঢুকে পড়েছে এই বিশাল আকারের সরীসৃপ প্রানীটি। তাও একটি নয় চার চারটি।
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিষ সামন্ত জানান, 'বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক অ্যান্ড সেন্টার ফর হারপেটোলজি থেকে রাজ্যের রাজধানী কলকাতাতে এসে পৌছেছে ৪টি হলুদ অ্যানাকোন্ডার শাবক। যার জন্য তৈরি হয়েছে লম্বা-চওড়া 30 ফুট ও 3 ফুট গভীর জলাশয়। এছাড়াও আলিপুর চিড়িয়াখানায় তৈরি করা হয়েছে মিনি অ্যামাজন জঙ্গল। যাতে অ্যানাকোন্ডার ছানারা বুঝতে না পারে যে তারা চিড়িয়াখানায় আছে, না অ্যামাজনের জঙ্গলে আছে। তাদের খাবার মেন্যুতে থাকবে ইঁদুর মাছ ব্যাঙ। সপ্তাহে 1 বার খেতে দেওয়া হবে তাদের।'
আশিস বাবু এও জানান, 'চারটি অ্যানাকোন্ডার শাবক এর পরিবর্তে আলিপুর থেকে গিয়েছে চারটি কেউটে বা মনোক্লেড কোবরা এবং চারটি শাঁখামুটি বা ব্যান্ডেড ক্রেট। প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আলিপুর চিড়িয়াখানায় অ্যানাকোন্ডা আনার তোড়জোড় চলছিল। সেজন্য ওদের রাখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, এক মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে অ্যানাকোন্ডা শাবকদের। তার পর দর্শকদের জন্য প্রকাশ্য আনা হবে। দেখা হবে এই এক মাসে তারা এখানের পরিবেশের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারছে। তাদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ পর্যবেক্ষকদেরও।
দক্ষিণ আমেরিকার বাসিন্দা হলুদ অ্যানাকোন্ডাগুলির দৈর্ঘ্য এখন ৪ ফুট থেকে সাড়ে ৪ ফুট। এই সাপ মূলত চার প্রকৃতির। ডার্ক স্পটেড অ্যানাকোন্ডা, হলুদ অ্যানাকোন্ডা, সবুজ অ্যানাকোন্ডা ও বলিভিয়ান অ্যানাকোন্ডা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ হিসেবে পরিচিত সবুজ অ্যানাকোন্ডা। এটি সর্বোচ্চ ৩০ ফিট পর্যন্ত হতে পারে। আর এর ওজন হতে পারে ২২৭ কেজি।