বিজেপির জয়ী সদস্যের ভোট তৃণমূলকে! অভিযোগে তপ্ত মালদহে গুলিবিদ্ধ শিশু সংকটে
বিজেপির জয়ী সদস্য পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে সমর্থন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। মালদহের মানিকচকে এই ‘দলবদলে’র মাশুল দিতে হল ওই পঞ্চায়েত সদস্যের একরত্তি শিশুকেও।
বিজেপির জয়ী সদস্য পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে সমর্থন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। মালদহের মানিকচকে এই 'দলবদলে'র মাশুল দিতে হল ওই পঞ্চায়েত সদস্যের একরত্তি শিশুকেও। বাড়িতে চড়াও হয়ে গুলি লাগে পঞ্চায়েতের বিজয়ী সদস্য পুতুল মণ্ডলের চার বছরের ছেলের মাথায়। অস্ত্রোপচার হলেও সংকট কাটেনি তার। এখনও জীবন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে গুলিবিদ্ধ ওই শিশু।
মালদহের মানিকচকে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে ভোটাভুটিতে বিজেপি ৯টি ভোট পায়, অথচ বিজেপির জয়ী সদস্যের সংখ্যা ছিল ১০। এই একটি ভোট কম পড়া নিয়ে সংশয় ও হিংসার সূত্রপাত বলেই অভিযোগ। বিজেপির কোনও জয়ী প্রার্থী দলকে ভোট দেননি। ওই একটি ভোট নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সন্দেহ হয় পুতুল মন্ডল নামে এক বিজয়ী প্রার্থীকে। বিজেপির টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছেন পুতুল। অথচ তিনি তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে মানিকচকে পুতুলের বাড়িতে হামলা চলে। একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী পুতুলের বাড়ি লক্ষ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। সেই সময় ঘরের ভিতরে বিছানায় ঘুমোচ্ছিল তাঁর ৪ বছরের ছেলে। একটি গুলি তার মাথায় এসে লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদিন আবার তাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন:কাশ্মীরের ৩৫এ ধারা নিয়ে শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্ট, বনধের চেহারা উপত্যকায়]
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা উভয়েই এই ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। উল্টে আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের দিকে। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার থেকে শুরু করে ভোটের দিন, ফলাফল প্রকাশের দিন আর এখন বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে হিংসার হোলি খেলা চলছে রাজ্যে। এ জন্য তৃণমূলই দায়ী। মালদহের ঘটনাতেও বিজেপির কোনও যোগ নেই।
[আরও পড়ুন:সরকার ও তার নীতির সমালোচনা করা মানেই দেশদ্রোহিতা নয়, সাফ জানাল ল' কমিশন]