জঙ্গি সন্দেহে মুর্শিদাবাদে ফের ধরপাকড়, উদ্ধার গুলি-বিস্ফোরক
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকে ধৃত দুই ব্যক্তির ডেরা থেকে প্রচুর গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তিনদিনে মোট চারজনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে।
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকে ধৃত দুই ব্যক্তির ডেরা থেকে প্রচুর গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তিনদিনে মোট চারজনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে।
বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রবিবার রাতে ফরাক্কা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আহম্মদ আলি নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই রাতেই সামসেরগঞ্জ থেকে রুবেস শেখ এবং আজার হোসেন নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।
শনিবারই এসটিএফ মুর্শিদাবাদ থেকে শিস মহম্মদ নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছিল। মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে বসিয়ে রাজ্যে জেএমবি কার্যকলাপ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ সূত্রের খবর, সাগরদিঘি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। ধৃত রুবেলের বাড়ি থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক ডিটোনেটর এবং অন্য বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় রুবেল জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আসা জেএমবি সদস্যদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিত সে। জিজ্ঞাসাবাদের আরও বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে।
বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এবং জঙ্গিপুরের নাম সামনে আসে। এবার এল সামসেরগঞ্জের নাম। মুর্শিদাবাদের একের পর এক জঙ্গি তৎপরতার জন্য গোয়েন্দা ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। যদিও রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে নারাজ জেলার মন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে।