তৃণমূলের 'ফর্মুলা' এখন বিজেপির হাতে! প্রাক্তন চার তৃণমূলীই পথের কাঁটা মমতার, দাবি সুজনের
তৃণমূলের ফর্মুলা অনেক আগেই চলে গিয়েছে বিজেপির হাতে। এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাজ্যে টিমটিম করে জ্বলতে থাকা বামেদের। তাদের মতে চারমূর্তিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পীড়া দিয়ে যাচ্ছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের ফর্মুলা অনেক আগেই চলে গিয়েছে বিজেপির হাতে। এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাজ্যে টিমটিম করে জ্বলতে থাকা বামেদের। তাদের মতে, চারমূর্তিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পীড়া দিয়ে যাচ্ছেন। এই চারজন হলেন, মুকুল রায়, শঙ্কুদেব পণ্ডা, অর্জুন সিং এবং ভারতী ঘোষ। অন্যদিকে বিজেপিও এঁদের ক্ষমতা উপলব্ধি করে তাঁদেরকে সংগঠনে তুলে আনছে। বাঁকুড়ায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যাবেন, বিজেপির পথেই, শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মুকুল রায়
সংগঠনগত ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তৃণমূলের শীর্ষে। তবে অঘোষিতভাবে মুকুল রায় ছিলেন তৃণমূলের দ্বিতীয় স্থানে। ২০১৭-র নভেম্বরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর থেকে সামনে থেকে তাঁকে সেরকম সক্রিয়ভাবে দেখা না গেলেও, লোকসভা নির্বাচনে মুকুল রায় বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কী করতে পারেন। বামেদের থেকে বাংলা ছিনিয়ে নিতে তিনি তৃণমূলের হয়ে যেমন পরিকল্পনা করেছিলেন বিজেপিতে গিয়েও তেমনি পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
শঙ্কুদেব পণ্ডা
তৃণমূলে থাকার সময়ে বলতে গেলে ছাত্রযুবর সর্বময় কর্তা ছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। ঝড় তুলেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে দিয়ে। ২০১৪-তে যাদবপুর নিয়ে তাঁর সেই ভাষণ দেখে বাংলা। আর এবার এবিভিপির আন্দোলন দেখল বাংলা। ইতিমধ্যেই বিজেপিতে জায়গা করে নিয়েছে মুকুল রায় ও শঙ্কুদেব পণ্ডে জুটি। মুকুল রায় একদিনে যেমন তৃণমূল ভাঙছেন, অন্যদিকে শঙ্কু ছাত্র সংগঠনে আঘাত করছেন। বিজেপি শিবিরের একাংশের দাবি, গুরু শিষ্যকে নিয়ে ঘুম ছুটেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।
অর্জুন সিং
বামেদের অভিযোগ অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'গুণ্ডামী'তে সাহায্য করতে দলের একেবারে উপরেই ছিলেন অর্জুন সিং। বিজেপির একটি সূত্রে দাবি লোকসভা নির্বাচনে পর নিজের ক্ষমতা দেখালেও, এখন কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন অর্জুন সিং। তবে তলায় তলায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
ভারতী ঘোষ
আর জঙ্গলমহলকে ঠাণ্ডা করে প্রশাসনে প্রায় দুনম্বরে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারতী ঘোষ। একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জঙ্গলমহলের মা বলে সম্বোধন করতেন তিনি। সেই ভারতী ঘোষকে দিয়েই জঙ্গলমহলে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বিজেপি।
সুজন চক্রবর্তীর আক্রমণ
বাঁকুড়ায় দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বাম পরিষদীয় নেতা তথা সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। তিনি এই চার মূর্তিকে নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি একনম্বর নেতা হয়ে থাকেন তাহলে দুনম্বর কে ছিলেন। সমবেত জনতা বলে মুকুল রায়। তিনি এখন বিজেপিতে গিয়েও একই জায়গায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ছাত্র যুবদের একনম্বর হয়ে থাকেন, তাহলে দুনম্বর ছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরপরেই সুজম চক্রবর্তী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি একনম্বর নেতা হয়ে থাকেন, তাহলে দুনম্বর মস্তান নেতা ছিলেন অর্জুন সিং। তিনিও এখন বিজেপিতে। পুলিশের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুনম্বর যে লোক ছিল, তিনি হলেন ভারতী ঘোষ। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে থাকতেন, তাঁরাই দলে দলে বিজেপিতে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই পথেই যাবেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা, বলেছেন সুজন চক্রবর্তী।
[ মহারাষ্ট্রে জোট সূত্র এখনও অধরা! যে কটি আসন নিয়ে এখনও বিরোধ বিজেপি-শিবসেনার]
[ফের হাইকোর্টে রাজীব কুমার! নতুন মামলার শুনানি বুধবার]