বিরোধী দুর্গ ভেঙে খানখান! চার কাউন্সিলর যোগ দিলেন তৃণমূলে, পুরসভায় সবুজায়ন
উপনির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের পরদিনই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন চার কাউন্সিলর। ফলে এককালের লাল দুর্গে শেষ সম্বল দাঁইহাটা পুরসভার ক্ষমতাও হারাতে বসল সিপিএম।
এককালে সিপিএম রাজ করত বর্ধমান জেলায়। এবার সেই জেলারই সিপিএমের শেষ বাতিটুকুও নিভে গেল। উপনির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের পরদিনই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন চার কাউন্সিলর। ফলে এককালের লাল দুর্গে শেষ সম্বল দাঁইহাটা পুরসভার ক্ষমতাও হারাতে বসল সিপিএম। সিপিএমের চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
[আরও পড়ুন:গদ্দার গেছে, বেঁচে গেছি! মুকুলকে বিঁধে বাম-রামের বোঝাপড়ার রাজনীতিকে তোপ মমতার]
পূর্ব বর্ধমানের মোট পাঁচটি পুরসভায় মধ্যে চারটি ছিল তৃণমূলের দখলে, আর একমাত্র দাঁইহাট পুরসভা ছিল সিপিএমের দখলে। সেই একমাত্র পুরসভাও হারাল সিপিএম। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত থেকে পতাকা তুলে নেন সিপিএমের চার কাউন্সিলর গীতা বন্দ্যাপাধ্যায়, সুজাতা বিশ্বাস, মামণি মাজি ও ধনঞ্জয় মণ্ডল।
এই যোগদানের ফলে ১৪ আসন বিশিষ্ট দাঁইহাটা পুরসভায় আটজন কাউন্সিলর হল তৃণমূলের। ফলে এই পুরসভার বামবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবারই অনাস্থা আনবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এই পুরসভায় নির্বাচনোত্তর পর্বে সিপিএম জয়ী হয়েছিল ৯টি ওয়ার্ডে, তৃণমূল চার ও বিজেপি প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে জয়ী হন।
সিপিএমের ন-জনের মধ্যে চারজন এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। এদিনের যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রাণী সম্প্দ বিকাশমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতিতে কাউন্সিলররা তৃণমূলে যোগদান করেন। দলত্যাগী কাউন্সিলররা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন।
[আরও পড়ুন:কলকাতার থেকেও উচ্চাসনে সোনারপুর! স্পোর্টস কার্নিভালে ফিরদৌসীদের ভূয়সী প্রশংসায় মদন]
অরূপ বিশ্বাস এদিন বলেন, 'সিপিএম ছেড়ে যোগদান করা কাউন্সিলর আগেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেইমতোই এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা তাঁদের গ্রহণ করলাম দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই চার কাউন্সিলরের দলবদল। এঁরা কাজ করতে চান। কিন্তু সিপিএমে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না কাউন্সিলররা। সেই কারণেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত এবং সর্বশেষে তৃণমূলে যোগদান। এঁদের যোগদানে জেলায় শক্তি বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের।'