তৃণমূলের কামব্যাক নৈহাটি পুরসভাতও, বিজেপি ছেড়ে 'ঘর ওয়াপসি' ৪ কাউন্সিলরের
ইতিমধ্যে কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলররা বিজেপির মোহ ত্যাগ করে ফিরে এসেছেন ঘরে। এবার নৈহাটিতেও একই সুর বেজে গিয়েছে।
ইতিমধ্যে কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলররা বিজেপির মোহ ত্যাগ করে ফিরে এসেছেন ঘরে। এবার নৈহাটিতেও একই সুর বেজে গিয়েছে। কারণ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে য়োগ দেওয়ার পর থেকেই নৈহাটির ৪ জন বিজেপি কাউন্সিলর নিখোঁজ। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি তাঁদের 'ঘর ওয়াপসি' এখন স্রেফ সময় অপেক্ষা?
তা হলে কাঁচরাপাড়ার মতোই নৈহাটি পুরসভা পুনর্দখল করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবির সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। ৩১ ওয়ার্ড বিশিষ্ট নৈহাটি পুরসভায় সবকটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে ১৮ জন কাউন্সিলর যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে।
এরপরই অনাস্থা প্রস্তাব দেয় গেরুয়া শিবির। সেই অনাস্থা প্রক্রিয়া শুরু হতেই পুরসভা দখল করতে নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসাতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। তার প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি কাউন্সিলররা। হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে যান বিজেপিতে যোগ দেওয়া চার কাউন্সিলর।
নিখোঁজ চার কাউন্সিলর হলেন, বেলা বিশ্বাস, অঞ্জনা সেনগুপ্ত, রুবি চট্টোপাধ্যায়, রীনা সুতার। সূত্রের খবর, তারা বর্তমানে মন্দারমনি ও বকখালিতে রয়েছেন। তাঁদের এই অনুপস্থিতিতে ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা প্রবলতর হয়েছে। চার কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরলে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭-তে। ফলে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে যাবে তৃণমূল। তাই চারজনকে দলে যোগদান করিয়ে বোর্ড দখলই মূল লক্ষ্য।