দলের কর্মীদের হাতেই খুন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি! ১২ ঘণ্টায় খুনের রহস্যের সমাধান
শুক্রবার রাতে খুনের পর গুলিবিদ্ধ ইসমাইলকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্তদের মধ্যে একজন। মহিম মোল্লা ওরফে পচা নামে দলেরই এই কর্মীকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিন্ডিকেট ব্যবসা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে বিষ্ণুপুরে খুন হয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, এলাকায় সিন্ডিকেট ব্যবসার রাশ টেনে ধরতেই দলের একাংশের কাছে চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারই জেরে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে ইসমাইল পৈলানকে। ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত চারজনই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত।
শুক্রবার রাতে খুনের পর গুলিবিদ্ধ ইসমাইলকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্তদের মধ্যে একজন। মহিম মোল্লা ওরফে পচা নামে দলেরই ওই কর্মীকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মহিমই হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড বলে মনে করছে পুলিশ।
বিষ্ণুপুরের রসপুঞ্জ এলাকায় সিন্ডিকেট ব্যবসা চালাত মাহিম। ঘটনায় ধৃত বাকি তিন জন- সানোয়ার মোল্লা, টম শানু ও আনোয়ার মোল্লারাও সিন্ডিকেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি এলাকায় সিন্ডিকেটের নামে ঝামেলা, টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল রুখতে এতে রাশ টেনেছিলেন ইসমাইল। ফলে, অনেকেরই স্বার্থে ঘা লেগেছিল। ফলে একাংশের রাগ গিয়ে পড়ে ইসমাইলের উপর। তাই বদলা নিতে এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।এদিনই ধৃত চারজনকে আদালতে পেশ করা হয়। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে বাখরাহাট পার্টি অফিস থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ইসমাইলকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের রসপুঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।রাস্তা আটকে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাঁর পেটে গুলি করেছিল তাঁকে। কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে আনার মুখে মৃত্যু হয় ইসমাইলের।