এক অলীক পুলিশ হেফাজতে, মুক্তি চার ‘অলীকে’র! উচ্ছ্বাস ভাঙড় আন্দোলনকারীদের
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের মুখ অলীক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে ১০দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর দিনেই তাঁর সহযোগী চার ভাঙড় আন্দোলনের নেতা জামিনে মুক্ত হলেন।
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের মুখ অলীক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে ১০দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর দিনেই তাঁর সহযোগী চার ভাঙড় আন্দোলনের নেতা জামিনে মুক্ত হলেন। এই চার নেতার মুক্তিতে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড আন্দোলন আরও জোরালো হবে বলে মনে করছে জমি-জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি।
শনিবার অলীকের জামিনের আবেদন খারিজ করে বারুইপুর আদালত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। একই সময়ে জামিনে মুক্ত চার আন্দোলনকারীর মধ্যে তিনজন রেডস্টার নেতা শঙ্কর দাস, মজদুর ক্রান্তি পরিষদের অমিতাভ ভট্টাচার্য ও বিশ্বজিৎ হাজরা জেলের বাইরে আসায় উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন কমিটির সদস্যরা।
আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে বাইরে আসার পরই তাঁদের নিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ভাঙড়ের আন্দোলনকারীরা। মিষ্টি মুখ করানো হয়। জামিনে মুক্ত রাতুল বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এদিন ছাড়া পাননি। তাঁর কাগজপত্র না আসায় তাঁকে দুদিন অপেক্ষা করতে হবে আরও। মোট কথা চারজনের জেলের বাইরে আসা আন্দোলনকারীদের আরও উৎসাহ জোগাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতেই ভুবনেশ্বর থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে বারুইপুরে আনা হয় সিপিআইএমএল রেডস্টার নেতা অলীক চক্রবর্তীকে। শনিবার আদালত চত্বর কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে বারুইপুর আদালতে তোলা হয় তাঁকে। তারপরই ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশের পাশাপাশি জানানো হয় তাঁর চিকিৎসা চালানো হবে বিচারবিভাগের পর্যবেক্ষণে।