মমতার মানবিক মুখে অভিভূত ফরওয়ার্ড নেত্রী দল ছাড়লেন, অধীর-গড়ে শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দলবদলের মাত্রা ততই বেড়ে চলেছে রাজ্যে। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটে সবথেকে বেশি নজর যে জেলায়, সেই মুর্শিদাবাদে দলবদলের হিড়িক পড়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দলবদলের মাত্রা ততই বেড়ে চলেছে রাজ্যে। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটে সবথেকে বেশি নজর যে জেলায়, সেই মুর্শিদাবাদে দলবদলের হিড়িক পড়েছে। এবার ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন মাকসুদা বেগম। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা।
মাকসুদা ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ৩০ বছর ধরে তিনি বামপন্থী রাজনীতি করেছেন, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক ও মানবিক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তিনি তৃণমূল পতাকা হাতে নিয়ে এদিন বলেন, 'মানুষের উন্নয়ন কাজ করতে চাই। আর সেই কাজ করতে গেলে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া ভালো মঞ্চ আর নেই।'
মাকসুদার কথায়, 'বালিঘাটের বাস দুর্ঘটনায় আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি। দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা তাঁকে মুগ্ধ করেছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা এককথায় অবর্ণনীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই তা সম্ভব হয়েছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।'
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামাম বেজে গিয়েছে। শাসক-বিরোধী সব মহলেই তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে। সব পক্ষই চাইছে শক্তি বাড়িয়ে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তৃণমূল কংগ্রেসও বিরোধীদের এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চাইছে না। ২০১৯-এর মহড়া সারতে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকেই তাঁরা পাখির চোখ করা হয়েছে।
এই অবস্থায় অধীর-গড়ে বাম শিবির ছেড়ে মাকসুদা বেগমের তৃণমূলে যোগদানকে কটাক্ষও করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, জেলা পরিষদের টিকিট পাওয়ার লোভে তিনি তৃণমূলে গিয়েছেন। শুধু বিরোধীরাই নন, তৃণমূলের একাংশও দাবি করেছেন মাকসুদা বেগম ভোটের টিকিট পেতেই দলবদল করলেন।
তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা বলেন, 'আমাদের দলের একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। সেই উন্নয়নের জোয়ারেই বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা তৃণমূল কংগ্রেসে আসছেন। তাঁদের তৃণমূলে যোগদানের সঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রার্থীপদের কোনও সম্পর্ক নেই।'