বাংলায় নিযুক্ত হলেন লোকায়ুক্ত, বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রাক্তন বিচারপতির নাম চূড়ান্ত
বাংলায় নিযুক্ত হলেন লোকায়ুক্ত, বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রাক্তন বিচারপতির নাম চূড়ান্ত
বাংলায় নিযুক্ত হল নতুন লোকায়ুক্ত। সুপ্রিম কোর্টেন নির্দেশ মেনে লোকায়ুক্ত নিযুক্ত করা হল। সোমবার বিধানসভায় সরকার ও বিরোধী বিধায়করা আলোচনাক্রমে নাম চূড়ান্ত করেন। প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের নামে লোকায়ুক্ত হিসেবে চূড়ান্ত হয় সর্বসম্মতিসক্রমে। রাজ্যপালের কাছে এই নাম পাঠানো হবে। তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত হবেন লোকায়ুক্ত।
এদিন লোকায়ুক্ত হিসেবে প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের নাম চূড়ান্ত করার পাশাপাশি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নামও চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে জানানো হয়েছে লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার বার্তা। এদিন সরকার ও বিরোধী পক্ষের বিধায়করা আলোচনায় বসে এই নাম চূড়ান্ত করেন। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্যোূরপাধ্যায় বলেন, কমিটি যে নাম চূড়ান্ত করে পাঠাবে তাতেই সম্মতি প্রদানের নিয়েম রাজ্যপালের। সংবিধানে সেই কথাই বলা আছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে নিয়ম তা মেনেই লোকায়ুক্ত নিয়োগ করা হয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই রাজ্যপালের কাছে সেই নাম পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভায় যে কমিটি লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে, সেই কমিটিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিধানসভা সূত্রে খবর, ২২ ডিসেম্বর মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নাম জানতে চেয়েছিলেন কে লোকায়ুক্তু হচ্ছেন এবং কে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন। কিন্তু সরকার পক্ষ তা জানায়নি। তাই বিরোধী দলেনা শুভেন্দু অধিকারী গরহাজির থাকেন বৈঠকে। ফলে এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক যে চলবে, তা বলাই যায়।
শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নয়, গরহাজির ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি অসুস্থ থাকায় সশীরের উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দেন বৈঠকে। তাঁর মত পেশ করেন। তারপর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয় বিধানসভায়।
বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রত্যেকের নিজের একটা গণ্ডি রয়েছে। সেই গণ্ডি মেনে চলা উচিত। এর বেশি আমরা আর কিছু বলার নেই রাজ্যপাল সম্বন্ধে। তবে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে এই বৈঠকে লোকায়ুক্তের নাম চূড়ান্ত হলেও বিতর্ক রয়েই গেল।