হইচই করে, পাত পেড়ে খেয়ে বট-পাকুড়ের বিয়ে দিল কালিয়াগঞ্জ
বরযাত্রী যেমন এসেছে তেমনই তৈরি হয়ে রয়েছে কনেপক্ষও। বিশালাকার প্যান্ডেলে রয়েছে হাজার নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন ও ভুঁড়ি ভোজের ব্যাবস্থাও। গ্রামের একমাত্র পাত্র ও একমাত্র পাত্রীর বিয়ে বলে কথা! হ্যাঁ, এবার জেনে নিই পাত্র আর পাত্রীর পরিচয়।
পাত্র এলাকার প্রাচীন একটি বট গাছ আর পাত্রী তারই সাথে জড়িয়ে থেকে বড় হয়ে ওঠা পাকুড় গাছ। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনিতে বসেছে বট-পাকুড়ের বিবাহ বাসর।
হৈ হুল্লোড়, খাওয়া দাওয়া নাচ গানে মেতে উঠলেন শান্তি কলোনির আবাল বৃদ্ধ বনিতা। মেয়ে বৌয়েরা দল বেঁধে নদীতে জল ভরতে যাওয়া থেকে শুরু করে মন্দিরে পূজো দেওয়া এমনকি বিয়ের রীতি মেনে নারায়ণ সাক্ষী রেখে নতুন কাপড় পরিয়ে বিয়ে দিলেন বট পাকুড়ের। উদ্দেশ্য একটাই বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে সমাজে বৃক্ষচ্ছেদন প্রতিরোধ এবং বৃক্ষরোপণের বার্তা দেওয়া।
বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে বাঁচতে সাধারন মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে বট পাকুড়ের বিয়ের মাধ্যমে বৃক্ষচ্ছেদন প্রতিরোধ ও বৃক্ষরোপণের বার্তা দিল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনির বাসিন্দারা। রীতিমতো সমস্তরকম নিয়ম নিষ্ঠা মেনে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ মেতে উঠলেন বিয়ের আনন্দ অনুষ্ঠানে।
শান্তি কলোনির বাসিন্দাদের দাবি, যেভাবে মানুষ নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে কংক্রিটের জঙ্গল গড়ে তুলছে তাতে বিশ্ব উষ্ণায়ন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর মোকাবিলা করতে একমাত্র প্রয়োজন বৃক্ষচ্ছেন প্রতিরোধ করে বেশি করে বৃক্ষরোপণ করা। মানুষের কাছে সেই বার্তা দিতেই এলাকার দুটি প্রাচীন বট ও পাকুর গাছের মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠান করা হল। শান্তি কলোনিতে বট পাকুড়ের বিয়ে কে কেন্দ্র করে খাওয়া দাওয়া আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেন আট থেকে আশি সকলেই।