শুভেন্দু একাই ১১০ আসন দখলের ক্ষমতা রাখেন! বাংলায় একুশের আগে ঘূর্ণিপাক রাজনীতি নিয়ে কিছু তথ্য
শুভেন্দু একাই ১১০ আসন এনে দিতে পারার ক্ষমতা রাখেন! বাংলায় একুশের আগে ঘূর্ণিপাক রাজনীতি নিয়ে কিছু তথ্য
২৪
ঘণ্টাও
কাটেনি
মত
পাল্টে
ফেললেন
শুভেন্দু!
মঙ্গলবার
উত্তর
কলকাতার
এক
বিলাসবহুল
বাড়িতে
শুভেন্দু
অধিকারীর
সঙ্গে
মুখোমুখি
পিকে,
অভিষেক,
সুদীপ
,
সৌগতরা
বৈঠকে
বসেন।
আর
ঠিক
তার
২৪
ঘণ্টার
মধ্যেই
শুভেন্দু
এক
হোয়াটস
অ্যাপ
মেসেজে
সৌগত
রায়কে
জানান,
'একসঙ্গে
কাজ
করা
সম্ভব
নয়'!
জল্পনা
শুরু
হতে
থাকে,
তাহলে
কি
শুভেন্দু
বিজেপিতে
যোগ
দিচ্ছেন?
না
নাকি
অন্য
কোনও
সিদ্ধান্তের
পথে
যেতে
পারেন
তিনি
।
বাংলার
ঘূর্ণিপাক
রাজনীতির
'ম্যান
অফ
দ্য
মোমেন্ট'
শুভেন্দু
অধীকারীর
এহেন
বার্তা
ফের
একবার
তোলপাড়
শুরু
করেছে।
সেই
আঙ্গিকে
দেখে
নেওয়া
যাক,
কেন
শুভেন্দু
অধীকারী
বাংলার
রাজনীতিতে
এতটা
গুরুত্বের
জায়গায়
রয়েছেন।
শুভেন্দুর হাইভোল্টেজ বৈঠকের পর শিশির বার্তা
মঙ্গলবারের শুভেন্দু-পিকে-অভিষেক- সৌগত, সুদীপ বৈঠকের পর এক বাংলা ডিজিটালের তরফে নেওয়া অডিও সাক্ষাৎকারে (অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলি) শিশির অধিকারী বলেন, সমস্যা মিটে যাওয়ার খবরে তিনি খুশি। তিনি বলেন, শুভেন্দুর সঙ্গে সৌগত রায়ের বৈঠকের পর সৌগত রায়ের সঙ্গে শিশিরবাবুর কথা হয়। আর তাতে শিশির অধিকারীকে সমস্যা মিটে যাবে বলে , আশ্বাস দেন সৌগত রায়। যদিও বৈঠকের পর ছেলে শুভেন্দুর সঙ্গে শিশির অধিকারীর কথা হয়নি বলে জানান তিনি। এমনই দাবি করেছে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন।
প্রসঙ্গ শুভেন্দু ও তৃণমূল
বাংলার রাজনীতিতে প্রশাসক শুভেন্দুকে নানাভাবে কার্যকর করেছে তৃণমূল। মমতার নির্দেশে তিনি মেদিনীপুরের মাটি ছাড়িয়ে মুর্শিদাবাদে দাপটের সঙ্গে দলের সাংগঠনিক দায়ভার সামলেছেন। এরপর মমতার প্রতিনিধি হয়ে গেলেও, বাংলার একাধিক বলয়ে শুভেন্দু নিজের ক্যারিশ্মা প্রকাশ করেছেন। সূত্রের মারফৎ জানা যায়, বহু দুঃস্থ , দুর্বল ,দরিদ্র মানুষের পাশা 'নেতা' শুভেন্দু দাঁড়িয়েছেন। আর সেই জায়গা থেকেই একটা বড় 'অনুগামী'র সংখ্যা তৈরি করেছেন নন্দীগ্রামের এই দাপুটে নেতা।
'শুভেন্দু বলয়' বাংলার রাজনীতিতে
একদিকে যেমন তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক ছক প্রস্তুতির দিকে, অন্যদিকে তেমনই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক দখলের রণনীতি তৈরি হচ্ছে। এর মাঝে বাংলার রাজনীতিতে একাই খবরে শুভেন্দু অধিকারী। বাংলায় একাধিক জেলার বহু এলাকা যেমন এক একটি পার্টির দখলে থাকে, সেই এলাকা সেই 'পার্টির এলাকা' নামে পরিচিতি পায়, তেমনই শুভেন্দু একাই নিজের 'বলয়' তৈরি করতে সমর্থন হয়েছেন বলে দাবি একাধিক বিশেষজ্ঞের। আর এই শুভেন্দু বলয়ের মধ্যে থাকছে, মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি, হাওড়ার বহু এলাকা। এছাড়াও শুভেন্দুর নিজের গড় মেদিনীপুরতো রয়েইছে। সঙ্গে জঙ্গলমহলেও তাঁর দাপট রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
১১০ আসন একাই আনতে পারেন শুভেন্দু!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের হয়ে তিনি মালদা, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গলমহলে বহুবার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। আর সেই সময় থেকেই শুভেন্দু নিজের ফ্যানবেস তৈরি করে গিয়েছেন বলে দবি একাধিক বিশেষজ্ঞের। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যে বহু বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন শুভেন্দু একাই ১১০ টি আসন এনে দিতে পারেন ২৯৪ আসনের বাংলা বিধানসভা ভোটে। ভেঙে বলতে গেল, তাঁর হোমটর্ফ পূর্ব মেদিনীপুর বাদে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁর প্রবল দাপট রয়েছে। ৯ টি লোকসভা ও ৬৩ টি বিধানসভা সম্বলিত এই এলাকা রীতিমতো মাইলেজ দিতে পারে শুভেন্দু শিবিরকে।
সমবায় থেকে হলদিয়া , শুভেন্দুর দাপট
বাংলা রাজনীতির রণাঙ্গনে শুভেন্দু অধিকারী একটি বড় নাম। নিজের এলাকা হলদিয়ার পোর্টে শুভেন্দুর মতো নেতার দাপট প্রবল। নন্দীগ্রাম আন্দোলেনর হাত ধরে বাংলার রাজনীতিতে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার পথে যাওয়া শুভেন্দু নিজেই জানিয়েছেন, তিনি লিফ্টেও আসেননি আর প্যারাশ্যুটেও নামেননি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের হাত ধরে শুধু হলদিয়ার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকাই নয়, দক্ষিণ বাংলার সমবায়গুলির মধ্যেও শুভেন্দুর প্রবল দাপট রয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। বিশেষত মঙ্গলবারের বৈঠকের পর শুভেন্দুর এদিনের সৌগতেকে পাঠানো মেসেজ ঘিরে নন্দীগ্রামের নেতার পরবর্তী পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা থেকেই যাচ্ছে।
ফের ছন্দোপতন, সৌগতকে শুভেন্দুর হোয়াটস অ্যাপ, মুখ খুললেন মুকুল রায়