কারখানায় কর্মী ছাঁটাইয়ে উত্তাল জামুড়িয়া, তৃণমূলের গোষ্ঠীসঙ্ঘর্ষ প্রকাশ্যে
বেসরকারি কারখানায় কর্মী ছাঁটাইকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সঙ্ঘর্ষ ফের প্রকাশ্যে চলে এল। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোলের জামুড়িয়া
আসানসোল, ৭ ডিসেম্বর : বেসরকারি কারখানায় কর্মী ছাঁটাইকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সঙ্ঘর্ষ ফের প্রকাশ্যে চলে এল। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোলের জামুড়িয়া। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতাল গেটের সামনে রাখা গাড়ি ও বাইকে। দু'দলই সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হয়। জখম হয়েছেন দুই গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন সদস্য। বিশাল পুলিশ বাহনী নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
দুদিন আগেই আমচকা কারখানার স্থায়ী ছ'জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা এরপর সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানান। তিনি খোঁজখবর নিতে শুরু করেন, কেন এতদিন কাজ করার পর ছ'জন কর্মীকে কোনও কারণ ছাড়াই ছাঁটাই করে দেওয়া হল।
তৃণমূল কাউন্সিলর রাখি কর্মকার দাবি করেন, তাঁর দলের ব্লক প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই ওই কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়।পরে ওই ছয়কর্মীকে বলা হয় ব্লক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে। তারপরই তাদের কাজে পুনর্নিয়োগ করা হবে। অভিযোগ, ওই ছয়কর্মী কাউন্সিলরের গোষ্ঠীর লোক। সেই কারণেই তাঁদের ছাঁটাই করে দেওয়া হয়।
এদিন সকাল থেকেই ওই ছয়কর্মী ও রাখিদেবীর অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখান কারখানার মালিকের অনৈতিককাজের বিরুদ্ধে। ছাঁটাই হওয়া ছয়কর্মীকে অবিলম্বে কাজে ফেরানোর দাবি জানানো হয়। তাঁদের বিক্ষোভে বাধা দেন তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা। দু'পক্ষের সঙ্ঘর্ষ বেধে যায়। দফায় দফায় বিক্ষোভ-ভাঙচুর চলে। বিশাল পুলিশবাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কারখানার গেটে বসানো হয়েছে পুলিস পিকেট।
কারখানা কর্তৃপক্ষের সাফাই, নোটের অভাবে বেতন দিতে সমস্যা হওয়ায়, কর্মী ছাঁটাইয়ের পন্থা নিতে হয়েছে। সেই কারণেই এই ছাঁটাই।