শ্রীরামপুরে গোলরক্ষকের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলের দিকে আঙুল বাবা-মায়ের
পোর্টট্রাস্টের ফুটবলারের মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ,শ্রীরামপুরের বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। স্নেহাশিসকে খুন করে রেল লাইনে ফেলা হয়েছে অভিযোগ
পোর্টট্রাস্টের ফুটবলারের মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ, শ্রীরামপুরের বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ফুটবলার স্নেহাশিস দাশগুপ্তকে খুন করে রেল লাইনে ফেলা হয়েছে অভিযোগ তাঁদের।
বন্ধুদের সঙ্গে নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ছিলেন পোর্টট্রাস্টের গোলকিপার স্নেহাশিস। পরিবারের দাবি, রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। অভিযোগ এর মধ্যে ছিলেন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ভাইও। সেই হাতাহাতি গড়ায় বাড়ি পর্যন্তও। কিছুক্ষণের জন্য বাড়িতেও ফিরে এসেছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্নেহাশিস। পিছু পিছু বাড়িতে চড়াও হয় ৪০ থেকে ৫০ জন। একই অভিযোগ করেছেন স্নেহাশিসের এক প্রতিবেশীও। বাড়িতে রক্তমাখা জামাও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্নেহাশিসের মা। স্নেহাশিসদের বাড়ি শ্রীরামপুর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে হলেও, ২৭ নম্বর কাউন্সিলর এবং তাঁর স্বামী পিন্টু নাগের নেতৃত্বেই এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলরের স্বামী পিন্টু নাগ।
মারধরের পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান স্নেহাশিস। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। এরপর শনিবার সকালে রেলের গুদামের কাছে লাইন থেকে স্নেহাশিসের দেহ উদ্ধার হয়। ওই রাতে স্নেহাশিসের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট ঘিরেও সন্দেহ দানা বাঁধছে। সেখানে স্পষ্ট স্নেহাশিস আত্মহত্যা করতেই যাচ্ছেন।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জিআরপির অনুমান, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্নেহাশিসের। যদিও স্নেহাশিসের বাবা-মায়ের দাবি স্নেহাশিসকে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে।
স্নেহাশিসের পরিবারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেও। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। শেওরাফুলি জিআরপি কোনও অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পরে অবশ্য পিন্টু নাগসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। অন্যদিকে, থানা প্রথমে ফিরিয়ে দিলেও পরে অভিযোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্নেহাশিসের মা।