
'ধরনা মঞ্চে বসে থাকলেই চাকরি মেলেনা', টেট আন্দোলনকারীদের বার্তা খাদ্যমন্ত্রীর
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য। গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন টেট উত্তীর্ণরা। করুনাময়ীর আন্দোলন নিেয় চরমে উঠেছিল উত্তেজনা। উৎসবের মাঝেও চাকরির দাবিতে ধরনা মঞ্চে চাকরি প্রার্থীরা। রবিবার চাকরি প্রার্থীদের বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি বলেছেন 'ধর্নামঞ্চে বসে থাকলেই চাকরি পাওয়া যাবে না। সরকার ইতিমধ্যেই নিযোগ প্রক্রিয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সব ছেলেমেয়ে এভাবে চাকরি পাবেন না'।

টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের বার্তা
টেট পরীক্ষায় পাস করেও ৮ বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন চাকরি পাননি। চাকরির দাবিতে তাই পথে নেমেছেন তাঁরা। করুনাময়ী থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর এবার মাতঙ্গিনী হাজরার ধর্নামঞ্চে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। দীপাবলির মধ্যেও আন্দোলনে চাকরি প্রার্থীরা। খাদ্যমন্ত্রী রথিন ঘোষ বার্তা দিয়েছেন তাঁদের। তিনি বলেছেন, 'এভাবে ধর্নামঞ্চে বসে থাকলেই চাকরি পাওয়া যাবে না। সরকার ইতিমধ্যেই নিযোগ প্রক্রিয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সব ছেলেমেয়ে এভাবে চাকরি পাবেন না'।

টেট উত্তীর্ণরা আন্দোলনে অনড়
এখনও চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় চাকরি প্রার্থীরা। তাঁরা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধর্না মঞ্চে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কয়েকদিন আগে করুনাময়ীতে পর্ষদের দফতের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন তাঁরা। আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। টানা তিনদিন অনশন আন্দোলন চালানোর পর গত বৃহস্পতিবার রাতে জোর করে টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। রাতারাতি গোটা এলাকা খালি করে দেওয়া হয়।

রাতের অন্ধকারে অভিযান
টেট উত্তীর্ণ বিক্ষোভ কারীদের আন্দোলনের জেরে পর্ষদের কর্মীদের কাজ ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্ট পর্ষদ চত্ত্বরে ১৪৪ ধারা বহালের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনেই সেখান থেকে রাতারাতি জোর করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেয় পুলিশ। এমনকী মহিলা বিক্ষোভকারীদেরও রাতের অন্ধকারে প্রিজন ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই নিয়ো গোটা রাজ্য উত্তাল হয়ে উঠেছে।

দাবি মানতে নারাজ পর্ষদ
এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি মানতে নারাজ পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা ২ বার ইন্চারভিউতে বসার সুযোগ পেয়েছেন। কাজেই তাঁদের দাবি অন্যায্য। তাঁদের চাকরি পেতে হলে নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে। কিন্তু টেট পরীক্ষার্থীরা ইন্টারভিউ না দিয়েই নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চাকরি দেওয়ার কিন্তু তিনি তা পূরণ করেননি।