ভুটান পাহাড়ের জলে ফুঁসছে নদী, বানভাসি জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকা
গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে অনবরত বৃষ্টি চলছে। সেই বৃষ্টির জেরে ডুয়ার্সে তৈরি হল বন্যা পরিস্থিতি। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে অনবরত বৃষ্টি চলছে। সেই বৃষ্টির জেরে ডুয়ার্সে তৈরি হল বন্যা পরিস্থিতি। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাতেই ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টি নেমে ভাসিয়ে দেয় আলিপুরদুয়ারের একাংশ। আর পাহাড়ি নদী ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপাইগুড়ির একাংশকে জলমগ্ন করে তোলে।
আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় উদ্ধার কার্যে নেমেছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয় মানুষদের সতর্ক করতে চলছে মাইকিং। রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে ডিমা, কালজানি, রায়ডাক নদীর জল বেড়ে যাওয়াতেই এই বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, শুধু জেলার বৃষ্টি রলে এত খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হত না। ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হতে, সেই জল নেমেই বেশি বিপত্তি হয়েছে। বানভাসি হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এমনই বন্যা পরিস্থিতি যে, আস্ত একটি ট্রাক ভেসে গিয়েছে নদীতে। সেইসঙ্গে বিপজ্জনকভাবে ভাঙছে নদীর পাড়। বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় নদীর অভাব নেই। জেলার মাঝখান দিয়েই বয়ে চলেছে দুটি নদী। ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হয়ে ওই নদী দিয়েই জল নামতে শুরু করে। আর সেই জল ভাসিয়ে দেয় আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার জনপদ। ফি-বছর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভৌগলিক অবস্থানজনিত কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় রক্ষা নেই জেলাবাসীর।
ভুটান থেকে হাতিনালার মাধ্যমে ডুয়ার্সে জল নেমে বিন্নাগুড়ি ও বানারহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের ইউবিআই রোড, শান্তিপাড়া, হাসপাতালপাড়া, বিন্নাগুড়ি-বানারহাট বাজারের উপর দিয়ে জল বইছে। এলাকার মানুষ জলবন্দি, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছেছ