জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি, নবান্নে কন্ট্রোল রুম, ডিভিসি কর্তৃপক্ষের বক্তব্যই বা কী
অতি বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এইসঙ্গে ঝাড়খণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
অতি বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এইসঙ্গে ঝাড়খণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। সেইজন্য দামোদরের নিম্ন অববাহিকার জেলাগুলিতে জল বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
[আরও পড়ুন: জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকা, কী বলছে আবহাওয়া দফতর]
বীরভূম
জেলার
বন্যা
পরিস্থিতির
কিছুটা
উন্নতি
হলেও
কুঁয়ে
নদীর
জলে
প্লাবিত
বহু
গ্রাম।
বহু
মানুষ
আটকে
রয়েছেন।
লাভপুরে
বাঁধ
ভেঙে
প্লাবিত
বহু
গ্রাম।
জেলা
প্রশাসনের
তরফে
উদ্ধার
কাজ
চালানো
হচ্ছে।
যুদ্ধাকালীন
তৎপরতায়
খয়রাশোলের
ভেঙে
যাওয়া
৬০
নম্বর
জাতীয়
সড়ক
মেরামতির
কাজ
শুরু
করেছে
প্রশাসন।
বাঁকুড়া
জেলায়
গন্ধেশ্বরী
ও
শালি
নদীতে
জলস্ফীতি
হয়েছে।
দামোদরের
জলে
প্লাবিত
ভাদুল
ও
মীনাপুরের
বেশ
কিছু
এলাকা।
শালি
নদীর
জলে
প্লাবিত
সোনামুখির
বেশ
কিছু
এলাকা।
পশ্চিম
বর্ধমান
টানা
বৃষ্টিতে
জল
জমেছে
আসানসোল,
রানিগঞ্জ,
জামুড়িয়া,
কুলটির
বেশ
কিছু
এলাকায়।
জামুড়িয়ার
খনি
এলাকায়
বৃষ্টির
জেরে
ধসও
নামে।
প্লাবিত
আসানসোলের
পুর
এলাকার
বেশ
কিছু
এলাকা।
পূর্ব
বর্ধমান
ভাতারের
বর্ধমান-কাটোয়া
রোডের
নরজা
মোড়ের
কাছে
অস্থায়ী
সেতুর
ওপর
দিয়ে
বইছে
খড়ি
নদীর
জল।
হুগলি
জেলার
আরামবাগ
মহকুমার
বেশ
কিছু
এলাকা
প্লাবিত
হয়েছে।
জল
রয়েছে
গোঘাটেও।
বৈদ্য়বাটী
পুরসভার
বিভিন্ন
ওয়ার্ড
জলমগ্ন।
চুচুঁড়া
স্টেশন
সংলগ্ন
এলাকাতেও
জল
জমেছে।
ভদ্রেশ্বরে
জলের
তোড়ে
ভেসে
গিয়েছে
গঙ্গার
ওপর
স্থায়ী
জেটি।
সিঙ্গুর,
বলাগড়ের
বেশ
কিছু
এলাকাও
জলের
তলায়।
মুর্শিদাবাদ
বীরভূমের
বন্যার
প্রভাব
পড়েছে
মুর্শিদাবাদেও।
ভরতপুর,
সালার,
খড়গ্রামে
নদীর
জল
বেড়ে
যাওয়ায়
বিভিন্ন
জায়গায়
বন্য়া
পরিস্থিতি
তৈরি
হয়েছে।
পশ্চিম
মেদিনীপুর
ঘাটাল,
চন্দ্রকোণা,
কেশপুর
ও
ক্ষীরপাই-এর
বিস্তীর্ণ
এলাকা
জলের
তলায়।
অনেক
জায়গাতেই
নৌকায়
যাতায়াত
চলছে।
শীলাবতি
ও
কাঁসাই
নদীর
জলস্তর
বেড়েছে।
নারায়ণগড়,
দাঁতন,
কেশিয়াড়ি,
বেলদায়ও
জল
জমেছে।
পূর্ব
মেদিনীপুর
প্রবল
বৃষ্টিতে
দিঘার
সমুদ্রে
জলোচ্ছ্বাস।
হলদিয়া,
পাঁশকুড়া,
কাঁথি,
এগরার
বিভিন্ন
এলাকা
জলমগ্ন।
সমুদ্র
ও
নদী
তীরবর্তী
এলাকায়
সতর্কতা
জারি
করেছে
জেলা
প্রশাসন।
উত্তর
২৪
পরগনা
বসিরহাট
মহকুমার
বিভিন্ন
এলাকা
প্লাবিত।
প্লাবিত
হয়েছে
পুর
এলাকার
বিভিন্ন
অংশ।
দক্ষিণ
২৪
পরগনা
জেলার
ডায়মন্ডহারবার
মহকুমার
বেশ
কিছু
এলাকায়
জল
জমে
রয়েছে।
সাগরের
বেশ
কিছু
প্লাবিত
হয়েছে।
প্রশাসনের
তরফে
উদ্ধার
কাজ
চালানো
হচ্ছে।
সমুদ্র
কিংবা
নদীতে
যাওয়ার
ক্ষেত্রে
মৎস্যজীবীদের
ওপর
নিষেধাজ্ঞা
জারি
করেছে
প্রশাসন।
ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় সকাল নটা পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এরপর পাঞ্চেত এবং মাইথন ব্য়ারেজ থেকে যদি জল ছাড়া হয় তবে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ফলে দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় থাকা পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।