বর্ষার শুরুতেই কাড়ল প্রাণ, মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই বাজ পড়ে মৃত মালদহের পাঁচ
বজ্রপাতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ৫ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক কিশোরীও। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বজ্রপাতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ৫ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক কিশোরীও। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গাজোল ও মানিকচক ব্লকে। শুধু গাজোল ব্লকেই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৯ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন সায়েম আলি(২৭), যোহন সোরেন(৫৫), শান্তি সাউরিয়া(৫৫) ও তালাময়ী চঁড়ে(৩৫)। অন্যদিকে, মানিকচকে মৃত কিশোরীর নাম সুবি খাতুন(১২)। এদিন দুপুর থেকে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। ওই সময় গাছ থেকে আম পাড়ছিলেন বৈরগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াগ্রামের বাসিন্দা সায়েম আলি। পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তার স্ত্রী রাশেদা বিবি।
ওই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সায়েম, জখম হন তাঁর স্ত্রীও। তাঁদের হাতিমারি ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা সায়েমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, করকচ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাগমারি ডাঙাতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় শান্তি শাউরিয়া ও তালাময়ী চঁড়ের। তাঁরা ভুট্টার ক্ষেতে কাজ করছিলেন।
তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন খেত মজুর ছিলেন। আচমকা বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হলে তাঁরা গাছের একটি ছাউনির মধ্যে গিয়ে দাঁড়ান। সেই সময় বাজ পড়লে শান্তি ও তালাময়ীর দুই জনের মৃত্যু হয়। শান্তির বাড়ি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙ্গি গ্রামে। এবং তালাময়ীর বাড়ি নিত্যানন্দপুরে। আহত হয়েছেন এক মহিলা। তিনি গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরেক মৃত যোহন সরেণের বাড়ি পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামুয়া গ্রামে। তিনি ঘটনার সময় নিজের বাড়ির টিনের ছাউনির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় বাজ পড়লে তিনি জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হারিমারি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। মৃত কিশোরী সুবি খাতুনের বাড়ি মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।