বাঘ মেরে বনভোজন চোরাশিকারিদের! শেষে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের ফাঁদে পুলিশি জালে
চিতাবাঘ মেরে বনভোজন হয়েছিল জমিয়ে। তারপর চিতাবাঘের চামড়া কেটে চড়া দামে বিক্রি করাই ছিল উদ্দেশ্য। চোরাশিকারীদের সেই অভিসন্ধি অবশ্য সফল হল না।
চিতাবাঘ মেরে বনভোজন হয়েছিল জমিয়ে। তারপর চিতাবাঘের চামড়া কেটে চড়া দামে বিক্রি করাই ছিল উদ্দেশ্য। চোরাশিকারীদের সেই অভিসন্ধি অবশ্য সফল হল না। বন দফতরের আধিকারিকদের পাতা ফাঁদে চোরাশিকারিদের জারিজুরি শেষ হয়ে যায়। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে ফাঁদ পেতে চোরাশিকারিদের গ্রেফতার করা হয় ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি থেকে।
চিতাবাঘের চামড়া কেনার জন্য একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রপ খোলা হয়। কিন্তু ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে যে খুলেছিলেন বনাধিকারিকরাই, তা বুঝতে পারেনি চোরাশিকারিরা। ফলে পাতা ফাঁদে পড়ে যায় তারা। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠে গিয়েছিল চিতাবাঘের চামড়ার। শেষমেষ লোভে পড়ে পাঁচ চোরাশিকারি পুলিশের জালে জড়িয়ে যায়।
জলপাইগুড়ি বনবিভাগের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। চামড়া বিক্রি করার জন্য দিনস্থির করে, ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করছিলেন বনাধিকারিকরা। নির্দিষ্ট সময়ে মোটর বাইকে চেপে চিতাবাঘের চামড়া বিক্রি করতে আসে চোরাশিকারিরা।
পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায় চিতাবাঘ মারার পর তার মাংস রেঁধে বনভোজন করে চোরাশিকারিরা। তারপর ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের চামড়াটি ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করার পরিকল্পনা কষে তারা। চার পাঁচদিন আগে বাঘটিকে মারা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বন দফতরের আধিকারিকরা।