ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায়, বজ্রপাত কাড়ল পাঁচ প্রাণ
পূর্বাভাস ছিলই, সেইমতোই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলল দিনভর। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। বুধবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়।
পূর্বাভাস ছিলই, সেইমতোই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলল দিনভর। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। বুধবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। দুর্যোগের ফলে রাজ্যে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নদিয়ায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। আর পুরুলিয়ায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। নদিয়ায় বজ্রাঘাতে আহতও হয়েছেন চারজন।
এদিন সকালেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয়। সতর্কবার্তা থাকলেও এদিন মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: 'সতর্ক হোন, আসতে পারে প্রলয়! জেনে নিন কী করবেন, কী না করবেন]
নদিয়ার চাপড়ার কাঠগড়া গ্রামে বাসিন্দা চাষের কাজ সেরে ফিরছিলেন, সেইসময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় চারজনের। মৃত চারজনের নাম কালাচাঁদ শেখ, কমল শেখ, নাজিবুল শেখ, আজিজুল শেখ প্র্মুখ। নদিয়ার আসাননগরে বজ্রপাতে ৪ জন আহত হন। পুরুলিয়াতেও মৃত্যু হল এক কৃষকের। মৃতের নাম কার্তিক সোরেন। তিনি সারেঙ্গার বটডাঙার বাসিন্দা।
এদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে সমস্ত জেলাতেই কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকী কলকাতাতেও এর প্রভাব পড়ে। মানিকতলায় রাস্তায় গাছ পড়ে যায়। ফলে বেশ খানিকক্ষণ যান চলাচল ব্যহত হয়। এদিন তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বহু জায়গাতেই। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। দুপুরে খানিকক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল ঝড়-বৃষ্টি। বিকেল থেকে ফের জেলায় জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।