বাম শাসনকেও হার মানাচ্ছে তৃণমূল! কাউন্সিলের কড়া চিঠি সত্ত্বেও চলছে সাংবাদিক নিগ্রহ
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে একের পর এক সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় কাঠগড়ায় শাসক তৃণমূল। ফের বাম শাসনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে রাজ্যের বর্তমান শাসক।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে একের পর এক সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় কাঠগড়ায় শাসক তৃণমূল। ফের বাম শাসনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে রাজ্যের বর্তমান শাসক। প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এই মর্মে রাজ্যকে চিঠি লিখলেও, রাজ্যের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। আর তারপরও রাজ্যে একের পর এক সাংবাদিক নিগ্রহ হয়ে চলেছে।
[আর পড়ুন:দেড় ঘণ্টার নাটক! মুকুল দেখালেন ভিডিও, অনুব্রত-র সামনে ভোলবদল মৃতের বাবার ]
কোচবিহার, আলিপুরের পর এবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে সাংবাদিকরা আক্রান্ত হন মনোনয়নের খবর করতে গিয়ে। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিককে জোর করে তুলে নিয়ে যায় রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রহৃত হন আরও চার সাংবাদিক। দুর্গাপুর আদালত চত্বরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ বিকাশ সেন নামে ওই সাংবাদিক মনোনয়ন সংক্রান্ত খবর করতে যান। তখন একদল বহিরাগত তাঁর উপর চড়াও হন। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই বহিরাগতরা। তা দেখে উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা প্রতিরোধ করে। কিন্তু বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তাঁরাও। ওই সাংবাদিকদের গুরুতর আহত অবস্থায় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন বারবার সাংবাদিকদের উপর চড়াও হচ্ছেন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। এই ধরনের ঘটনার বাড়বাড়ন্ত দেখা যেত বামফ্রন্ট আমলের শেষের দিকে। এখন তৃণমূলের আমলেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তবে কি তৃণমূলেও সেই একই রোগ ধরে গিয়েছে? প্রশ্ন উঠছে সাংবাদিকমহলে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশকে এদিন নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায়। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও কী করে পুলিশের সামনে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে সরব হয়েছে সাংবাদিকমহল।
গত ৪ এপ্রিল কোচবিহারে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় খবর করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়। সাংবাদিকদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নবান্ন থেকে জানানো হয়, এই সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরপর ৯ এপ্রিল আলিপুরে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হল সাংবাদিক। এক মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থা করা হয়। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই প্রেস কাউন্সিল চিঠি লেখে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয় নবান্ন থেকে। তারপরও সম্বিৎ ফিরল না রাজ্যের। সমানে চলছে সাংবাদিক নিগ্রহ।
[আরও পড়ুন:ভোটকে বিলম্বিত করতেই চক্রান্ত বিজেপির! বহিরাগত এনে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ পার্থর ]