লকডাউনের জেরে ঘোর সংকটে সুন্দরবনের মাঝিরা
লকডাউনের জেরে ঘোর সংকটে সুন্দরবনের মাঝিরা
সিরহাট মহকুমার সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ ও হেমনগরে প্রায় দুই শতাধিক মাঝি নৌকা বা ভটভটি চালিয়ে সংসার চালান। পরিবারের লোক ধরলে ১০০০ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নৌকা চলাচলের সাথে জড়িত।
লকডাউনের জেরে একদিকে রায়মঙ্গল, কালিন্দী, ইচ্ছামতী, গৌড়েশ্বর ও বেতনী সহ একাধিক নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়েছে। পাশাপাশি এখান থেকে বহু মাঝি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে যেত। সেগুলিও বন্ধ হয়েছে। নদীতে পুলিশি নজরদারি চলছে।
কোস্টাল থানার পুলিশ লকডাউন অমান্য করলেই জরিমানা ও আটক করছে। যার জেরে ঘোর বিপদে মাঝি ও তাদের পরিবার। নদীতে মাছ ধরাও বন্ধ। একদিকে অর্থনৈতিক সমস্যা অন্যদিকে খাবার সংকট। উভয় সংকটে জেরবার সুন্দরবনের মাঝি মল্লারা। মাঝি-মল্লাদের আবেদন সরকার যদি তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে আগামী দিনে কোনরকম ভাবে জীবন-জীবিকা, রুজি রোজগার চালিয়ে যেতে পারবেন। লকডাউন দীর্ঘমেয়াদি হলে তাদের অবস্থা সংকটজনক হবে বলে জানাচ্ছেন। লকডাউন দীর্ঘস্থায়ী হলে এই জীবিকা থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে এমনটাই জানাচ্ছেন মাঝি মল্লারা। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা বলেন, "আমরা মাঝিদের পাশে আছি। তাদের জন্য বিনামূল্যে রেশনের চালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী দিন যাতে স্থায়ী কিছু করা যায় সেই চিন্তা ভাবনা করছি।"