সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে চায় উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম শোভন! ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলিকে জানিয়েছে নিজের কথা
এবারে প্রথম দশে ১৩৭ জন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের মধ্যে প্রথম হয়েছে বীরভূম জেলা স্কুলের শোভন মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। শতাংশের নিরিখে পেয়েছে ৯৯.৬%। মাধ্যমিকে অষ্টম স্থানে ছিল শোভন।
এবারে প্রথম দশে ১৩৭ জন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের মধ্যে প্রথম হয়েছে বীরভূম জেলা স্কুলের শোভন মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। শতাংশের নিরিখে পেয়েছে ৯৯.৬%। মাধ্যমিকে অষ্টম স্থানে ছিল শোভন। ছেলের সাফল্যে গর্বিত প্রাইমারি শিক্ষক বাবা সুভাষ মণ্ডল। পরবর্তীতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় শোভন।
'আশা ছিল এক থেকে দশের মধ্যে'
নিজের
ভাল
ফল
নিয়ে
প্রশ্নের
উত্তরে
শোভন
মণ্ডল
জানিয়েছে
এক
থেকে
দশের
মধ্যে
আশা
ছিলই।
কিন্তু
একেবারের
যে
প্রথম
হয়ে
যাবে,
তা
তাঁর
আশা
ছিল
না।
ফল
ভাল
হওয়ার
পিছনে
রয়েছে
গৃহ
শিক্ষকের
ভূমিকা।
জানিয়েছে
শোভন।
স্কুল
শিক্ষকদের
অবদানের
কথাও
স্বীকার
করে
নিয়েছে
সে।
বাবা-মায়ের
পাশাপাশি
নিজেও
পড়াটা
চালিয়ে
নিয়ে
গিয়েছে
নিজের
মতো
করে।
কতক্ষণ
পড়াশোনা,
প্রশ্নের
উত্তরে
শোভন
জানিয়ে,
মেপে
পড়াশোনা
সে
করেনি।
তবে
দশ
থেকে
বারো
ঘন্টা
যে
পড়তে
হবেই
তার
মন্তব্য
থেকে
পরিষ্কার।
তবে
যথনই
সময়
পেয়েছে,
ক্রিকেট
খেলেছে
সে।
প্রিয়
খেলোয়াড়
বিরাট
কোহলি।
কখনও
কখনও
সে
মোবাইল
গেমস
নিয়ে
ব্যস্ত
থাকত
সে।
ভাল
লাগার
মধ্যে
গল্পের
বইও
রয়েছে।
চিকিৎসক হতে চায় শোভন
ইতিমধ্যেই জয়েন্টের মেডিক্যালেও বসেছে শোভন। যদি হয়ে যায় তাহলে সে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়েই পড়াশোনা করতে চায়। কারণ হিসেবে বলছে, রাজ্যে এত হাসপাতাল, কিন্তু সেখানে চিকিৎসক নেই। সুচিকিৎসার বন্দোবস্তের জন্যই সে চিকিৎসক হতে চায় বলে জানিয়েছে।
বাবার প্রতিক্রিয়া
নিজের ছেলের সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন শোভনের বাবা সুভাষ মণ্ডল। জানিয়েছেন, পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ স্থানের আশা করেছিলেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, দিনে খাওয়ার সময়টুকু বাদ দিয়ে ঘন্টা দুয়েক বিশ্রাম নিত। আর রাতে দুটো-আড়াইটে পর্যন্ত পড়াশোনা করত শোভন।