কলকাতাকে মমতার স্বপ্নের শহর বানাতে চান, নতুন দিশায় পথ চলা শুরু ফিরহাদের
কলকাতাকে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের শহর বানাতে চান ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার মেয়র পদে শপথ নিয়েই তিনি নতুন দিশায় পথ চলা শুরু করলেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, কলকাতার প্রধান সেবক হতে চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে তিনি কলকাতার দিশারী হয়ে উঠতে চান। চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে।

কলকাতার মেয়র পদে টানা দ্বিতীয়বার বসলেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন শপথ নিয়ে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হল। একইসঙ্গে শপথ নিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। পুরসভরা চেয়ারপার্সন পদে শপথ নিয়েছেন মালা রায়, শপথ নিয়েছেম মেয়র পারিষদ সদস্য ও কাউন্সিলররাও। এদিন প্রথা ভেঙে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান করা হয় পুরসভার লনে। শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার রাম পেয়ারি রাম।
এবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে এসেছে তৃণমূল। ১৪৪টির মধ্যে ১৩৪টি আসনেই জয়যুক্ত হয়েছে তৃণমূল। গতবারের থেকে ২০টি আসন বেশি নিয়ে কলকাতা পুরসভার নতুন বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। দায়িত্ব বণ্টন ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গিয়েছে। এবার তাঁদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হল এদিন।
শপথবাক্য পাঠ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতাতে আরও উন্নতমানের গড়ে তুলতে হবে। কলকাতার সেবক হতে চাই। কলকাতাকে বিশ্বসেরা করে গড়ে তুলতে হবে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। এটাই এখন চ্যালেঞ্জ। অনেক প্র্ত্যাশা নিয়ে এই পুরবোর্ড গড়ে তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে হবে। কলকাতাবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
ফিরহাদ বলেন, কলকাতাকে বিশ্বের সেরা শহরে পরিণত করার কাজ হাতে নিয়েছি আমরা। সবাইকে নিয়েই এই কাজ করতে হবে। কাউন্সিলরদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের বার্তা দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সবাইকে বলেন, নিজের ওয়ার্ডকে আদর্শ করে গড়ে তোলার শপথ নিন। তাহলেই দেখবেন কলকাতা উন্নত হয়ে গিয়েছে।
ফিরহাদের কথায়, আমরা একটাই টিম। নতুন এই টিম নিয়ে আমরা নেমে পড়েছি স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে হবে। এই শপথ নিয়েই আমাদের পথ চলা শুরু হল। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভায় ৩৯তম মেয়র হিসেবে এদিন শপথ নিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কেরিয়ারে দ্বিতীয়বার কলকাতার মেয়র হয়ে ফিরহাদ বললেন, দেশবন্ধু-নেতাজিদের নখের যোগ্য হলেও ধন্য মনে করব।
তিনি কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, সকলের কাছে অনুরোধ মানুষ ডাকলে সর্বাগ্রে হাজির হতে হবে। মানুষের সমস্যার সমাধানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, কাউন্সিলররা তখনই সফল যখন সবাই বলবে যখন ডাকি তখন পাই। এই ট্যাগলাইনকে শ্রেষ্ঠ বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, মানুষকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে হোয়াটস অ্যাপে সমাধান চালু করা হবে কলকাতা পুরসভায়। মানুষ কোনও সমস্যায় হোয়াটস অ্যাপ করে জানাতে পারেন। তার টোল ফ্রি নম্বর শীঘ্রই চালু করা হবে।