রাজীব আমার ছোট ভাইয়ের মতো, কেন ওর এমনটা হল? রাজীব ইস্যুতে ফিরহাদের মন্তব্যে জল্পনা
ডোমজুড়ে বড় ব্যবধানে হারার পরে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন রাজীব। আর বিজেপিমুখী হননি তিনি। এমনকি সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকেও আসেননি প্রাক্তন এই বিধায়ক। আর তখন থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়র তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের
ডোমজুড়ে বড় ব্যবধানে হারার পরে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন রাজীব। আর বিজেপিমুখী হননি তিনি। এমনকি সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকেও আসেননি প্রাক্তন এই বিধায়ক। আর তখন থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়র তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়। এমনকি বেশ কয়েকজনকে দিয়ে নাকি নেত্রীর কাছে ফেরার বার্তাও দিয়েছেন রাজীব।
যদিও অরূপ রায় সহ হাওড়ার একাধিক নেতা রাজীবের তৃণমূলে ফেরাতে আপত্তি জানাতেই বিষয়টি নাকি ঝুলে? আর এই জল্পনার মধ্যেই রাজীবের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কেন বিজেপি-তে গেল?
রাজীবের বোধোদয় বিলম্বিত হলেও তা ভাল বলেই মনে করেন ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার রাজীব প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ''রাজীব আমার ছোট ভাইয়ের মতো। কেন ওর এমনটা হল? কেন বিজেপি-তে গেল? এটা আমার কাছেও বিস্ময়ের। যাওয়ার আগের আগের দিনও ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিনেও আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু দেরিতে হলেও, যদি বোধোদয় হয়, তা হলে সেটা ভাল লক্ষণ।''
রাজীবের আবেদন আসেনি!
বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়েছেন রাজীব। এমনকি বেশ কয়েকজনকে দিয়ে নাকি নেত্রীর কাছে ফেরার বার্তাও দিয়েছেন রাজীব। যদিও অরূপ রায় সহ হাওড়ার একাধিক নেতা রাজীবের তৃণমূলে ফেরাতে আপত্তি জানাতেই বিষয়টি নাকি ঝুলে? বিজেপির হিন্দুত্ববাদী বিস্ফোরক মন্তব্যের পরেই রাজীবের তৃণমূল যোগ আরও বাড়তে থাকে। আর তা বাড়তেই হাওড়ার একাধিক জায়গা জুড়ে রাজীবের নামে পড়ে পোস্টার। যেখানে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে রাজীবকে বলা হয়। তবে কে এই পোস্টার দিয়েছে তা নিয়ে জল্পনা। তবে তৃণমূলের তরফে যে পোস্টার দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট। তবে এদিন ফিরহাদ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দলের কাছে রাজীবের দলে ফিরতে চেয়ে কোনও আবেদন আসেনি।
সিদ্ধান্ত নেবে দল!
আপনি কী দলে রাজীবকে স্বাগত জানাবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ''আমি দলে কাউকে স্বাগত জানানোর কেউ নই। দল দলের সিদ্ধান্ত নেবে। এখনও ওঁর কোনও আবেদনপত্র দলের কাছে আসেনি। যাঁদের আবেদন এসেছে, তাঁদের বিষয়টিও দল ঠিক করবে। কিন্তু দেরিতে বোধোদয় হলেও, ভাল। অনেকে তো এমন রয়েছেন, যাঁদের বোধের উদয়ই হয় না।'' উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা-নেত্রী। ইতিমধ্যে দলের ত্রফ্রে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দলবদলুদের নিয়ে পুরো সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সৌগতের মন্তব্যে জল্পনা!
দমদমের সাংসদের দাবি, "এমন বহু নেতা আছে, যারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, এবং তাঁরা এখন ফিরে আস চায়।" সৌগতর বক্তব্য তৃণমূলের এই দলত্যাগীরা মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত। কেউ কেউ নরমপন্থী, কেউ কেউ চরমপন্থী। এরপরই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা কার্যত উদাহারন হিসাবে শুভেন্দুর নাম সামনে আনেন। তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা যেখানে মমতাকে নিয়ে প্রকাশ্যেই বাজে কথা বলেছে, সেখানে মুকুল রায় কখনও মমতাকে নিজে কটু কথা বলেননি।" সৌগতর এই মন্তব্যের পরই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি 'নরমপন্থী' মুকুলের জন্য দলের রাস্তা খুলে দিল তৃণমূল? যদিও সৌগতবাবু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলত্যাগীদের ফেরানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মমতাই নেবেন। উল্লেখ্য, রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় কি গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলেই ফিরতে চলেছেন? সেই প্রশ্নের উত্তর অজানা থাকলেও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কি মুকুলকে কোনও ইশারা দিতে চাইলেন? মুকুল রায় ফিরতে চাইলে তৃণমূলের রাস্তা যে তাঁর জন্য খোলা সেটাই বোঝাতে চাইলেন সাংসদ? প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলের।