বাবুলের পর কে? তৃণমূলে আসছে আরও বড় নেতা, ফিরহাদের বার্তায় বাড়ছে জল্পনা, কী বললেন সুকান্ত মজুমদার
বাবুলের পর কে? তৃণমূলে আসছে আরও বড় নেতা, ফিরহাদের বার্তায় বাড়ছে জল্পনা, কী বললেন সুকান্ত মজুমদার
সকলকে চমকে দিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। চমকের এখানেই শেষ নয় আরও চমক অপেক্ষা করে রয়েছে। আরও বড় বড় বিজেপি নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের পরেই জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। সূত্রের খবর বিজেপির অন্দরেও নাকি এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতিও সুকান্ত মজুমদারও যে বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর মন্তব্যে।
বিজেপির অন্দরে জল্পনা
ফিরহাদ হাকিমের এই দাবির পর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি শিবিরে। একুশের ভোটের পরেই বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ ঠিকরে বেরিয়ে আসছিল। একদিকে আদি নব্যের লড়াই অন্যদিকে বিক্ষুব্ধদের তালিকা বাড়তে শুরু করেছিল। তার উপরে দলবদলু নেতাদের দুই পায়ে নৌকা দিয়ে চলার চেষ্টা। এই নিয়ে যাকে বলে জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে বঙ্গ বিজেপি। ভোট মিটতেই তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়। তাঁর হাত ধরে এনেকেই এলেন তৃণমূলে। কিন্তু একেবারে নিখাঁদ বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দেবেন সেটা তাঁরা ভাবতে পারেননি। সেই অসম্ভবও সম্ভব করে দেখালেন বাবুল সুপ্রিয়। সব সমীকরণ ওলট পালট করে দিয়ে বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন আসানসোলের সাংসদ।
নতুন রাজ্য সভাপতির বার্তা
ফিরহাদের বার্তা েয একেবারেই ফাঁকা আওয়াজ নয় সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বিজেপির নব নির্বাচিত রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে। সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব নিয়েই বিক্ষুব্ধদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন যাঁরা মনে প্রাণে বিজেপি ভালবাসেন তাঁরা যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। তবে অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা আলোচনায় বসুন,আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির অনেক নেতাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।
বাবুলের দল বদল
বাবুল সপ্রিয়র দল বদল চমকে দিয়েছিল বিজেপিকে। কয়েক দিন আগে যিনি রাজনীতি ছেড়ে গানের জগতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। যাঁর মান ভাঙাতে স্বয়ং অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা ময়দানে নেমেছিলেন। সেই বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন সেটা ভাবনার অতীত ছিল অনেকেরই। যেমনটা রাজীব শুভেন্দুকে নিয়ে ভেবেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। বাবুল মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বেসুরো হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বাবুল সুপ্রিয়কে সঙ্গে নিয়েই নন্দীগ্রাম এবং পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচার করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পাল্টা জবাবে বাবুল বলেছেন, বিজেপি কখনও তাঁর কাজের মর্যাদা দেয়নি। মানুষের জন্য কাজ করেছিলেন বলেই আসানসোল থেকে বেশি ভোেট দ্বিতীয়বার জিতেছিলেন তিনি।
রাজ্যসভাপতি বদল
দিলীপ ঘোষকে নিয়ে প্রথম থেকেই বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। অনেকেই প্রকাশ্যে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মুকুল রায় বিজেপিতে থাকাকালীন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তার বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল একাধিকবার। ভোেটর পরেও সেই বিরোধ প্রকট হয়েছিল। তারপরেই অনেকটা দিলীপকে নিষ্ক্রিয় করে দিেতই তাঁকে দলের সহ সভাপতির পদে বসানো হয়। এতদিন যে পদে রাখা হয়েছিল মুকুল রায়কে।