মোদী থেকে যোগীজিকে হারানোর ক্ষমতা মমতারই আছে! কংগ্রেসকে তৃণমূলে মিশে যাওয়ার প্রস্তাব
চার রাজ্যে বিজেপির জয়জয়কার! আর এর মধ্যেই কারচুপি দেখছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়াতে জয় পেয়েছে বিজেপি। আর এরপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপি কেন্দ্রের থাকার সুবাদে সর্বশক্ত
চার রাজ্যে বিজেপির জয়জয়কার! আর এর মধ্যেই কারচুপি দেখছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়াতে জয় পেয়েছে বিজেপি। আর এরপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপি কেন্দ্রের থাকার সুবাদে সর্বশক্তি দিয়ে কারচুপি করেছে।
এমনকি ইভিএম লুঠের মতো অভিযোগও সামনে এসেছে। একই ভাবে বাংলাতেও ভোটে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল বলে দাবি কুণাল ঘোষের।
কিন্তু এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ওদের পরাজিত করেছে বলে মন্তব্য তাঁর। শুধু তাই নয়, দলের মুখপাত্র বলেন, অখিলেশরা সবরকম ভাবে চেষ্টা করেছে। কিন্তু চালাকি কিংবা ছকটা তাঁরা বুঝতে পারেনি বলেও দাবি তাঁর। তবে কুণালের মতে এই নির্বাচনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মোদী থেকে জোগীজিকে চোখে চোখ রেখে তৃণমূলই পারে হারাতে।
তবে গোয়াতে কয়েকমাসে হয়েছে তৃণমূল পা রেখেছে। কয়েকমাস ধরে মানুষের আস্থা অর্জন করা, লোগো চেনানোর কাজ করেছে। গোয়াতে অল্প সময়ে সে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছেছে। তবে কংগ্রেসের উচিৎ এবার নিজেদের আয়নায় মুখ দেখা। প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে তাঁরা আর নেই। সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি কুণাল ঘোষের।
শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত আমরা বিজেপি বিরোধী অবস্থানে অনড় আছি বলে দাবি তাঁর। কুণালের মতে, আমরা বাংলায় বিজেপিকে সবদিক থেকে হারিয়েছি।
কার্যত একই মত ফিরহাদ হাকিমেরও। তিনি জানান, নিরপক্ষে ভোট হয়নি। না হলে বিজেপি লক্ষিমপুর, হাথরাসে বিজেপি এগিয়ে থাকত না। নিশ্চয় এর পিছনে ছাপ্পা সহ অন্যান্য কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে দাবি ফিরহাদের। যদিও এহেন অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপির জয়জয়কারের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যে মোটেই গ্রহিণযোগ্য নয়। উনি সব জায়গাতে বাংলা হিসাবে ভুল করেন। এখানে যে কাণ্ড ঘটেছে তা উত্তরপ্রদেশের কোথায় ঘটেনি। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের।
অন্যদিকে কংগ্রেসকে তৃণমূলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আবেদন ফিরহাদের। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের অবস্থা সামনে এসেছে। ওদের উচিৎ তৃণমূলের সঙ্গে মিশে যাওয়া। পালটা দিয়েছেন অধীরও। তাঁর দাবি, দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কংগ্রেস তার জায়গায় থেকে লড়ে যাবে। মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাবে। এমনকি তৃণমূলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পালটা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর মতে, দুদিন পর দেখা যাবে তৃণমূলের লোকজনই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে।