কলকাতা স্বাভাবিক করতে সাত দিন সময় চাইলেন ফিরহাদ, হাতজোড় করে শহরবাসীকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ
কলকাতা স্বাভাবিক করতে সাত দিন সময় চাইলেন ফিরহাদ, হাতজোড় করে শহরবাসীকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ
আম্ফানের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত শহর কলকাতা। জলহীন, বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ছে জনরোষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ ময়দানে নামলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে শহরবাসীর কাছে ৭ দিন সময় চেয়ে নিলেন তিনি। একসপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি।
জলহীন, বিদ্যুৎহীন শহরে বাড়ছে বিক্ষোভ
আম্ফান গোটা শহরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। সাড়ে ৫ হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে রাস্তায়। অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা, মোবাইল পরিষেবা একেবারেই ভেঙে পড়েছে শহরে। প্রায় ২ দিন জলহীন, বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে শহরে অধিকাংশ এলাকা। এই নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে একাধিক জায়গায়।
এক সপ্তাহ সময় চাইলেন ফিরহাদ
এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীর কাছে হাত জোর করে ৭ দিন সময় চেয়ে নিয়েলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিেয়ছে জেলা থেকে শ্রমিকরা কাজ করতে আসছেন না তাই। দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা যাচ্ছে না। পুরো পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সাতদিন সময় লাগবে। হাতজোর করে শহবাসীকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সিইএসসিকে কড়া বার্তা
সিইএসসি বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করছে না বলে একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে। ফিরহাদ হাকিম কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন। যেখানে সম্ভব হচ্ছে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। বড় রাস্তার গাছ কাটবে এনডিআরএফ। গলির রাস্তার গাছ কাটবে সিইএসসি এবং পাড়ার রাস্তার গাছ কাটবে পুরসভাগুলি। যত দ্রত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভািবক করার চেষ্টা করছেন তিনি।
আম্ফানে বিধ্বস্ত শহর
আম্ফানের তাণ্ডবে বিশ্বস্ত মহানগরি। রাস্তায় রাস্তায় গাছ পড়ে রয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। টেলিফোন পরিষেবাও স্বাভাবিক নেই। পানীয় জলের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে শহরের সর্বত্র। বইপাড়া তছনচ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে গোটা শহর।
আম্ফানের জের, বড় ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলার ১০ হাজার কোটির সাধারণ বিমা সেক্টর