ভারতীয় বায়ু সেনার এমনই প্রচেষ্টা! শেষ পর্যন্ত নিভল জাহাজের আগুন
ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা। ব্যারাকপুর থেকে যাওয়া বায়ুসেনার এমআই ১৭ হেলিকপ্টার প্রায় ১৫ হাজার লিটার জল ঢালে এমভি এসএসএল কলকাতা-র ওপর। এরপরেই সেখানকার আগুন নেভে।
ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা। ব্যারাকপুর থেকে যাওয়া বায়ুসেনার এমআই ১৭ হেলিকপ্টার প্রায় ১৫ হাজার লিটার জল ঢালে এমভি এসএসএল কলকাতা-র ওপর। এরপরেই সেখানকার আগুন নেভে। এমনটাই জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা দফতরের তরফ থেকে। ভেসেল থেকে কোনও তেল বা রাসায়নিক সমুদ্রের জলে মেশেনি বলেও জানানো হয়েছে।
বুধবার রাতে এমভি এসএসএল কলকাতা জাহাজটিতে আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার সকালে ২২ জন ক্রুকে উদ্ধার করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। জাহার ছাড়ার আগে ওই দিন জাহাজটিকে নোঙর করা যায়নি। ফলে জাহাজটি বাংলাদেশ সংলগ্ন সুন্দরবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।
শুক্রবার বিকেলেও জাহাজের ডেক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কিন্তু জাহাজটি ক্রমশ সুন্দরবনের দিকে এগোতে থাকায় সেখানকার জীব বৈচিত্র নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। জাহাজটিতে ৪৬৪ টি কন্টেনার ছাড়াও ২১১ টন তেল ।
শনিবার কোস্টগার্ড ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর তরফে জাহাজটিতে অপারেশন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকালে কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর ইঞ্জিনিয়াররা জাহাজটির ইঞ্জিন চালু করেন। সেটিকে সমুদ্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। এইসময়ই একের পর এক বিস্ফোরণ হতে থাকে জাহাজে। সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন অসমাপ্ত রেখেই ফিরে আসে কোস্টগার্ড ও ভারতীয় বিমান বাহিনী। তবে জাহাজ ছাড়ার আগে সেটিকে নোঙর করা সম্ভব হয়।
রবিবার ব্যারাপকপুর থেকে উড়ে যায় বায়ুসেনার এমআই ১৭ হেলিকপ্টার। যা প্রায় ১৫ হাজার লিটার জল ঢালে এমভি এসএসএল কলকাতা-র ওপর। রাতে জাহাজের আগুন নিভে গিয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপত্র জানিয়েছেন, রবিবার উইং কমান্ডার নিখিল মেহরোত্রা ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অতুল মিশ্র প্রথমে ফ্রেজারগঞ্জ হেলিপ্যাডে যান। সেখান থেকে প্রায় ছয় বারে জল নিয়ে উড়ে যায় ওই জাহাজের ওপর।
শ্রেয়াস শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের অধীনে রয়েছে কন্টেনারবাহী জাহাজটি। কৃষ্ণপত্তনম থেকে সেটি কলকাতার দিকে আসছিল। বুধবার রাত ১০.১৫ নাগাদ জাহাজের ডেকে একটি বিস্ফোরণ হয়। তারপরেই জাহাজটিতে আগুন লেগে যায়।