ঘরে ধোঁয়া, মন্ত্রী-পুলিশ দুর্ঘটনা বললেও মমতার দাবি 'বিরোধীদের চক্রান্ত'
স্থানীয় সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের প্রচারে সেরে বৃহস্পতিবার রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উঠেছিলেন মালদহের একটি হোটেলে। রাতে হঠাৎই ঘরের এয়ার কন্ডিশনার থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। মুহূর্তে ঘর ভরে যায় ধোঁয়ায়। একই সঙ্গে নিভে যায় ঘরের আলো। মুখ্যমন্ত্রী তখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ধোঁয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাকাডাকি শুরু করেন। ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষী ও হোটেলকর্মীরা। তাঁকে পাশের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তিনি স্বাভাবিক হন। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হোটেলের সামনে ভিড় করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী প্রমুখ তাড়াতাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ছুটে আসেন। তাঁরা ছিলেন অন্য ঘরে। রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (মালদহ রেঞ্জ) সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এসে সরেজমিনে তদন্ত করেন। পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, এটা অন্তর্ঘাত নয়। শর্ট শার্কিট থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে রাতে ঘুমের সময় এমন ঘটনা ঘটলে বড়সড় বিপদে পড়তে পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মালদহের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, "এটা সামান্য ঘটনা। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা খোঁজখবর নিয়ে যা বুঝেছি, শর্ট সার্কিট থেকেই এটা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।"
পুলিশের ডিআইজি, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী যেখানে বিষয়টিকে 'শর্ট সার্কিট' বলছেন, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কেন একে 'চক্রান্ত' বললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই ঘটনায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় একহাত নেন নির্বাচন কমিশনকে। তিনি বলেন, "ভোটের সময় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব হল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু তাতে তারা গুরুত্বই দিচ্ছে না।"
এদিকে, এই ঘটনায় উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে সিপিএম। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র রাতেই টেলিফোন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেমন আছেন, জানতে চান। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যেখানে থাকবেন, সেখানকার নিরাপত্তা সব সময় আগে থেকে খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে বোধ হয় গাফিলতি ছিল।"