বিধ্বংসী আগুনের গ্রাসে বাগবাজার! উত্তুরে হাওয়ার জেরে আরও ছড়াচ্ছে লেলিহান শিখা
বাগবাজার ব্রিজের কাছেই বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন। পরপর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে আগুন আরও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পার্শ্ববর্তী এলাকাতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে আগুনের জেরে আপাতত লক গেটগামী রাস্তার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উত্তুরে হাওয়ার দাপটের জেরে ছড়িয়েছে আগুন
গঙ্গার কাছাকাছি থাকায় উত্তুরে হাওয়ার জেরে উইমেনস কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকাতে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাতে ২৬টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে সেখানে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বহুতলেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে উইমেনস কলেজেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আগুন লেগেছে মায়ের বাড়ির অফিসেও। সেখান থেকে মহারাজদের সেখান থেকে বের করে আনা হয়েছে। পাশাপাশি বইপত্রও সরানো হয়েছে সেখান থেকে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না দমকল
এদিকে শ্যামপুকুর থানার অধীনে থাকা এই এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগের আঙঅগুল তুলেছেন দমকলের দিকে। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছে দমকল। এদিকে আগুনের কালো ধোয়াঁয় ছেয়ে গিয়েছে এলাকার আকাশ। এদিকে পুলিশের উপরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বাসিন্দারা। বস্তির জনঘনত্ম বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না পুলিশ এবং দমকল।
কী কারণে লাগল আগুন?
এদিকে আগুন লাগার কোনও কারণ এখনও জানা জায়নি। পাশাপাশি কোনও হতাহতের খবর না থাকলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এদিকে সেই এলাকার পাশেই একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। আর টালা ব্রিজ বন্ধ থাকায় উত্তর কলকাতা গামী গাড়িগুলি লকগেট হয়ে যেত। তবে এখন সেই রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। তাই উত্তর এবং মধ্য কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সম্মুখীন।
দমকল দেরিতে আসায় স্থানীয় মানুষরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে
দমকল দেরিতে আসায় স্থানীয় মানুষরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ তাঁদের সরাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উপরও লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ৷ বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনায় ইতিমধ্যে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে বাগবাজারের সারদা মায়ের বাড়ি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা৷