
রাজ্য বাজেটে কী কী চমক থাকবে এবার, জনমুখী প্রকল্পের বরাদ্দে নজর রাজনৈতিক মহলের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার ফলে প্রভাব পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে। এবার বাজেটে তার প্রতিফলন পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প চালু হলেও তার কোনও নির্দিষ্ট বাজেট রাখা হয়নি গতবারে। এবার কী কী চমক অপেক্ষা করে আছে, সেটাই দেখার।

শুক্রবার রাজ্য বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বাজেট পড়বেন তিনি। তিনি জানান, এবার বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামো নির্মাণ, শিল্প ও কর্মসংস্থান তৈরিতে। সেইসঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনা-চিন্তা তাও জানা যাবে এবার বাজেট পেশে। এইসব সামাজিক প্রকল্পে কতখানি বরাদ্দ বাড়ানো হয়, সেদিকেও নজর রাজনৈতিক মহলের।
এবার বাজেটে বিজেপি কোন ভূমিকা নেয়, সেদিকেও বিশেষ নজন দেওয়া হয়েছে। কেননা গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বিধানসভা। কদিন ধরেই বিধানসভা বয়কট করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন বিজেপির বিধায়করা। তাঁদের দেখা যাচ্ছে আগ্রাসী ভূমিকায়। এদিন তাঁদের ভিন্ন ভূমিকায় দেখা যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপির আগ্রাসী ভূমিকার মোকাবিলায় কৌশল নিরূপণ করেছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছে অধিবেশনে ১০০ শতাংশ হাজিরার। তার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাসক দল নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হাঁটবে। বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল, তা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার এখন আশঙ্কা করছে, রাজ্যপালের ভাষণের সময় যেভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছিল, বাজেট পড়ার সময়ও যদি একই পরিকল্পনা করা হয়, তাই বিকল্প পন্থাও খোলা রাখা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, তা প্রয়োগ করা হতে পারে। বাজেট পাঠ শুরু করে কিছুটা পড়ে শেষের অংশ পড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে।
গতবার বাজেট পেশের সময়ও বিজেপি তা ভণ্ডুল করার পরিকল্পনা করেছিল। একুশের নির্বাচনের পর বাজেট পড়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেবারও তাঁর বাজেট পড়ার সময় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল বিজেপি। তাই এবার আগে থেকে সাবধানী তৃণমূল। রাজ্যপাল ভাষণ দেওয়ার সময়ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। তার বিরুগ্ঘে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয় রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে।