সিআইএসএফ ও রাজ্য পুলিশের ৩ জনের অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কমিশনে জমা পড়ল রিপোর্ট
মাথাভাঙা শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে। সন্ধ্যার মধ্যে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
মাথাভাঙা শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে। সন্ধ্যার মধ্যে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
সেই মতো বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়ল কমিশনে। কমিশনকে রিপোর্ট দিলেন পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক। আত্মরক্ষা ও বুথ বাঁচাতেই গুলি চালানো হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সিআইএসএফ ও রাজ্য পুলিশের ৩ জনের অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে রিপোর্টে।
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটে উত্তপ্ত কোচবিহার। শীতলকুচির দুই জায়গায় পর পর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনায় সিআইএসএফের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ জনই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলে দাবি।
বিনা প্ররোচনাতেই গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৪ জন। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। যদিও ঘটনার পরেই কোচবিহারে সিআইএসফই যে গুলি চালিয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তড়িঘড়ি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেন নির্বাচন কমিশন। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুনীল জৈনও সিইওকে ফোন করে ঘটনার পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট তলব করে। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কোচবিহারে।
পর পর ২ জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভোটদানে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
যদিও ঘটনার পর যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে কমিশনে তাতে আত্মরক্ষায় গুলি চলেছে বলে দাবি করা হয়। কোচবিহারের ঘটনায় আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ জওয়ানরা। এমনই দাবি করা হয়। ইতিমধ্যেই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক রিপোর্ট পাঠিয়েছে কমিশনে।
সিআিএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে গ্রামে গিয়েছিল কিউআরটি টিম। সেখান থেকে ভোটারদের নিয়ে বুথে আসার পর তাঁদের ঘিরে ধরা হয়। ভিড়ের মধ্যে মিশে দুষ্কৃতীরা সিআইএসএফের জওয়ানদের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তখনই আত্মরক্ষায় তাঁরা গুলি চালায় বলে রিপোর্ট জমা পড়ে।
তবে দিএনের শেষে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তা জমা পড়েছে ইতিমধ্যে।
অন্যদিকে, ঘটনার পরেই সব কাজ ফেলে শিলিগুড়ি উড়ে যান মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তাঁর হুঁশিয়ারি, বাহিনীর চালানো গুলিতে ৪ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা দেখবে সিআইডি। এই ঘটনায় কারা দোষী তা খুঁজে বের করবে বলে দাবি নেত্রীর।
একই সঙ্গে এদিনের ঘটনা পুরোপুরি 'পূর্ব পরিকল্পিত' আখ্যা দিয়ে এর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে আঙুল তোলেন তিনি।
মমতার দাবি, "আজকের ঘটনার জন্য অমিত শাহ দায়ি। উনি নিজে এই ঘটনার ষড়যন্ত্র করেছেন। উনি রোজ এই ষড়যন্ত্র করছেন। আমি বাহিনীকে দায়ি করি না কারণ তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশে চলে।"