যুদ্ধ জারিই, মান্নানের মানসিক বিকারগ্রস্তের পাল্টা মিথ্যেবাদী তত্ত্ব মানসের
কলকাতা, ৩ অক্টোবর : ফের মানস বনাম মান্নান। দল বদলেও রণে ভঙ্গ নয়। যুদ্ধ জারিই রাখলেন একদা সতীর্থ দুই 'ম'। এবার যুদ্ধের সূত্রপাত একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল মান্নানের চিঠির উত্তরে শ্বেতপত্র পাঠিয়েছেন সদ্য দলত্যাগী মানস ভুঁইয়া।
আর তাতেই রেগে লাল মান্নান। বলেই ফেললেন, মানস ভুঁইয়া মানসিক বিকারগ্রস্ত। মানসের পাল্টা মিথ্যেবাদী। বললেন মান্নান সাহেব মিথ্যে বলছেন। সাদা কাগাজ পাঠাইনি। উনি চিঠি প্রকাশ করছেন না।'তাঁর দলগত অবস্থান জানতে এবং বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের দাবিতে মানস ভুঁইয়াকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন আবদুল মান্নান। মোট তিনটি ঠিকানায় চিঠি পাঠান। কিন্তু একটি চিঠি ফেরৎ আসে।
একটি চিঠির উত্তর পান তিনি। কিন্তু উত্তরে সাদা কাগজ পাঠানো হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন মান্নান সাহেব। এই অভিযোগের পর সোমবার দিনভর চাপান-উতোর চলছে। মান্নান সাহেব বলেন, তিনি ২২ সেপ্টেম্বর মানসবাবুকে তিনটি ঠিকানায় চিঠি লিখেছিলেন।
একটি এমএলএ হস্টেলে, দ্বিতীয়টি বিধানসভার রেকর্ড অনুযায়ী কাঁকুড়গাছির ঠিকানায়। আর অন্যটি মানসবাবুর বাড়িতে। তাঁর মধ্যে একটি চিঠি ফেরৎ এলেও, একটির উত্তর তিনি দিয়েছেন। সেই চিঠি তিনি পান ১ অক্টোবর। কিন্তু চিঠি খুলে দেখা গিয়েছে, তাতে কিছুই লেখা নেই। যাঁর অর্থ তিনি শ্বেতপত্র পাঠিয়েছেন।
এরপরই মান্নান সাহেব মন্তব্য করেন, মানসবাবু মানসিক বিকারগ্রস্ত। মানসবাবু তা শোনার পর চুপ করে থাকেননি। তিনিও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, তিনি সাদা কাগজ পাঠাননি। তিনি চিঠির যথার্থ উত্তরটাই দিয়েছেন। কিন্তু মান্নান সাহেব তাঁর লেখা চিঠি দেখাচ্ছেন না। তিনি মিথ্যে কথা বলছেন। অর্থাৎ প্রকারান্তরে মানসিক বিকারগ্রস্ত মন্তব্যের পাল্টা মিথ্যেবাদী আখ্যাটা দিয়েই দিলেন মানসবাবু।
এদিন মান্নায় সাহেব বলেন, শুধু মানসবাবুকেই নয়, চিঠি পাঠানো হয়েছিল তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও রবিউল আলম চৌধুরীকেও। তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানাতে বলা হয়েছে। তাঁরা চিঠির উত্তর দিয়েছেন। তুষারবাবু ও রবিউল আলম জানিয়েছেন তাঁরা দলত্যাগ করেননি। কিন্তু তাঁদের উত্তরে ও যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। তাই তাঁদের ভূমিকা স্পষ্ট করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।