সীমান্তে আটকে হাজারো পণ্যবাহী ট্রাক, রফতানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ এফআইইও
সীমান্তে আটকে হাজারো পণ্যবাহী ট্রাক, রফতানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ এফআইইও
স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারস্থ হল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস (এফআইইও)। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে থাকা রফতানি প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সরকারের তরফে সবুজ সংকেত মেলার পরেও বন্ধ রফতানি
এদিকে সমস্ত সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালু করার জন্য জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সবুজ সংকেত মেলে বলেও জানা যায়। সেই মোতাবেক ১১ই মে থেকে পুনরায় সমস্ত রফতানি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হওয়ার কথা। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। একাধিক অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সহজপাচ্য জিনিস সহ হাজার হাজার ট্রাক এখনও স্থলবন্দরে আটকে রয়েছে বলে খবর।
স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে ২রা মে থেকেই বন্ধ রফতানি
এদিকে স্থানীয় লোকজনের বিক্ষোভের পরে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ২রা মে থেকেই। সীমানার ওপারে বেনাপোল থেকে ফিরে এসে ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে গ্রামবাসীরা।
বাতিল হচ্ছে একাধিক অর্ডার
এবার এই সঙ্কট কাটাতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দারস্থ হল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস। চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন সংগঠনের পূর্ব আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান সুশীল পাটোয়ারী। পণ্য সরবরাহ না করায় রফতানিকারীরা অর্ডার বাতিল করছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
ক্ষতিপূরণ দাবি আমদাদানিকারীদেরও
পাশাপাশি আমদানিকারীরাও তাদের লোকসানের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন বলে খবর। এদিকে সঠিক সময়ে ব্যাঙ্কে লোন শোধ করতে না পারায় চড়া সুদে কিস্তি মেটাতে হচ্ছে রফতানিকারীদের। এই অবস্থা চলতে থাকলে রফতানিকারী সংস্থা গুলিকে ঝাপ বন্ধ করে পথে বসা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না বলেও ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে।
ফেসবুকে ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ, অনুমপ হাজরাকে থানায় হাজিরার নোটিস