হাতিকে স্যালুট ঠুকে ডুয়ার্সের জঙ্গলে দাঁতালের পায়ের নিচে মৃত্যু নিরাপত্তাকর্মীর, দেখুন ভিডিও
হাতিকে স্যালুট ঠুকতে গিয়ে মৃত্যু ডুয়ার্সে। বাঘে খাঁচায় ঢুকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও, এই ধরনের ঘটনা প্রথম বলেই অনুমান। বলা যেতে ২০১৭-র অন্যতম একটি ঘটনা। এই মৃত্যু নিয়ে পরিবার ও মৃতের সহকর্মীদের মধ্য বিতর্ক
হাতিকে স্যালুট ঠুকতে গিয়ে মৃত্যু ডুয়ার্সে। বাঘে খাঁচায় ঢুকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও, এই ধরনের ঘটনা প্রথম বলেই অনুমান। বলা যেতে ২০১৭-র অন্যতম একটি ঘটনা। তবে এই মৃত্যু নিয়ে পরিবার ও মৃতের সহকর্মীদের মধ্যে চাপানউতোর একটা রয়েই গিয়েছে।
বন্য জন্তুর সামনে বীরত্ব দেখাতে গিয়ে ফের মৃত্যুর ঘটনা। কয়েক বছর আগে দিল্লিতে বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়ে প্রাণ খোয়ান এক মানসিক ভারসাম্যহীন। গুয়াহাটির চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচার হাত ঢুকিয়ে হাত খুঁইয়ে ছিলেন এক সরকারি কর্মী। এমনকী খোদ এই কলকাতাতেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় দু'দশক আগে বাঘকে মালা পরাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক ব্যক্তি। বন্য জন্তুর সামনে বীরত্ব দেখাতে যাওয়ার এমন ঘটনার শেষ নেই। এই তালিকায় এবার সংযোজিত হয়েছে লাটাগুড়ির নাম।
২৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকেলে লাটাগুড়ির কাছে গরুমারার জঙ্গলে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বেরিয়ে আসে একটি দাঁতাল। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা দাঁতালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। কোনও ভাবেই দাঁতালটি সরে যাওয়ার নাম-গন্ধ নিচ্ছিল না। গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকলে অবশেষে দাঁতালটি বিশাল চেহারাটা টানতে শুরু করে। আর সেই সময়ই দাঁতালটিকে চিৎকার করে সামরিক কায়দায় স্যালুট ঠোকেন সিদ্দিকুল্লা রহমান নামে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। চিৎকার শুনে দাঁতালটি ঘুরে সিদিকুল্লার দিকে এগিয়েও যায়। একটি সমবায় ব্যাঙ্কের নিরাপত্তাকর্মী সিদ্দিকুল্লা তবুও দাঁতালকে দেখে রাস্তার ধার থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সিদ্দিকুল্লাকে খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি দাঁতালটি। এরপর তাঁর দেহ টানতে টানতে পিচ রাস্তার মাঝখানে এনে ফেলে দিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে সে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন। পরে ঘটনার তদন্তও হয়।
তবে সমবায় ব্যাঙ্কের নিরাপত্তাকর্মী সিদ্দিক রহমানের পরিবারের অভিযোগ, সহকর্মীরাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, যাত্রা পথে হাতি নিয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন সহকর্মীরা। তাঁরাই বলেন বন্দুক দেখলে হাতি ভয়ে পালাবে। সেই মতো রাস্তায় নামেন সিদ্দিক রহমান। আর হাতি সামনে আসতেই স্যালুট ঠোকেন। এরপরেই ক্ষিপ্ত হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে যান সিদ্দিক। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সিদ্দিকের পরিবারকে সাহায্যও করা হয়।