ফের ধনেখালির জঙ্গিযোগ! মেয়ের শাস্তি চাইলেন বাবা, মা
ফের ধনেখালির জঙ্গিযোগ! মেয়ের শাস্তি চাইলেন বাবা, মা
ফের হুগলির ধনেখালিতে জঙ্গিযোগ। চারবছর আগে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া আয়েশা জন্নত মোহনা কে ঢাকার সদর ঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। বাড়ির কাছে দীর্ঘদিন মেয়ের বর্তমান অবস্থান জানা না থাকলেও সেই খবর বাড়িতে পৌঁছে যায় তাড়াতাড়ি। এই ঘটনায় অবাক রয়েছে প্রতিবেশীরাও। বাবা, মা জঙ্গি মেয়ের শাস্তি চেয়েছেন।
বছর চারেক আগে বাড়ি ছেড়েছিল প্রজ্ঞা দেবনাথ
৪ বছর আগে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে বাড়ি ছেড়েছিল প্রজ্ঞা দেবনাথ। কলকাতায় যাওয়ার নাম করে বাড়ি ছেড়েছিল সে। কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে, তার কোনও তথ্যই বাড়িতে ছিল না। বাড়ি ছাড়ার সময় যাবতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল সে।
প্রজ্ঞা ধর্মান্তরিত হয়ে উঠেছিল আয়েশা জন্নত
বাড়ি ছাড়ার পরে ধর্মান্তরিত হয়েছিল প্রজ্ঞা। তার নাম বয়েছিল আয়েশা জন্নত মোহনা। যোগ দিয়েছিল নব্য জেএমবিতে। জেএমবির মহিলা বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও অপর এক নাম ছিল তাঁর জান্নাতুত তাসনিম। বাংলাদেশ থেকে সে জানিয়েছিল ধর্ম পরিবর্তন করার কথা। পরিবারের দাবি ধর্ম পরিবর্তনের কথা জানলেও জঙ্গি যোগের কথা তারা জানতেন না।
মেয়েকে ফিরে আসতে বলেছিলেন বাবা, মা
ধনেখালির কেশবপুর কালীবাড়িতে শেষ পর্যন্ত জঙ্গির বাবা, মায়ের তকমা পেয়েছেন প্রদীপ দেবনাথ ও গীতা দেবনাথ। জানতেন মেয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছে। ওই ধর্ম ত্যাগ করে মেয়েকে ফিরে আসতে বলেছিলেন তারা। কোনও সময় ঠোঙা বানিয়ে, কাপড় সেলাই করে মেয়েকে বড় করা গীতা দেবনাথ মেয়ের মৃত্যুই কামনা করছেন। বাবা বলছেন কষ্ট করেও মেয়েকে পড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিল সে। দেশদ্রোহী মেয়ের শাস্তি হলে কোনও আফশোস হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাবা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ
ধনেখালি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। জঙ্গি নেত্রীর ভাই ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে পুলিশ সূত্রে দাবি, জঙ্গি নেত্রীর দেওয়া তথ্য আর পরিবারের দেওয়া তথ্যে ফারাক রয়েছে।
আগেও ধনেখালির জঙ্গি যোগ
এবারের জঙ্গিযোগ প্রথম নয়, ২০১৬ সালে দশঘড়ার বাসিন্দা দুর্গাপুরের কাঁকসার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র আশিক আহমেদকে এনআইএ গ্রেফতার করেছিল। তার সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
প্রতীকী ছবি
রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে আচমকা ধাক্কা বাসের! মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে