মায়ের কোল থেকে কেড়ে একরত্তি শিশুকে তুলে আছাড়, মেয়ে হওয়ায় নির্মম বাবা
পরপর কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার লেগেই ছিল। এবার কোপ গিয়ে পড়ল কন্যাসন্তানের উপর। মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে কন্যাসন্তানকে তুলে আছাড় মারল বাবা।
পরপর কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার লেগেই ছিল। এবার কোপ গিয়ে পড়ল কন্যাসন্তানের উপর। মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে কন্যাসন্তানকে তুলে আছাড় মারল বাবা। মুর্শিদাবাদের সালারের সরমস্তিপুরে ঘটে এই নির্মম ঘটনা। বাবার পাশবিক আচরণের শিকার হল একরত্তি শিশু। হাসপাতলে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হল না। বাঁচানো গেল না শিশুকে।
পরপর দুই কন্যা সন্তান হয়েছিল আব্বাস-সেলিনার। তা নিয়েই স্ত্রীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার তুমুল ঝগড়া বেঁধেছিল আব্বাস আলির। বচসা চলাকালীনই স্ত্রী-র কোল থেকে ছ-মাসের শিশুকন্যাকে ছিনিয়ে নেয় আব্বাস। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুকে তুলে আছাড় মারে সে। সঙ্গে সঙ্গেই ফারহা সুলতানা নামে ওই শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে ওই শিশুকে স্থানান্তরিত করা হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর মৃত শিশুর মা সেলিনা বিবি থানায় অভিযোগ করে। ঘটনার পর থেকেই মর্মাহত শিশুটির বাবা আব্বাস। এই ঘটনার জন্য রাগকেই দায়ী করছেন তিনি।
বছর দেড়েক আগে আব্বাস-সেলিনার কন্যা সন্তান হয়। ফের ছ-মাস আগে কন্যা সন্তানের জন্মে দেন সেলিনা। তখন থেকেই স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি লেগেছিল। আব্বাস স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করেছিল। অভিযোগ, মেয়েদের উপরও অত্যাচার চালাত সে। শরীর খারাপ করলে ডাক্তারও দেখাত না আব্বাস।
অভিযোগ, কয়েকদিন আগে আব্বাস গলা টিপে মারতে চেয়েছিল স্ত্রী সেলিনাকে। মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলতেই বৃহস্পতিবার অশান্তি শুরু করে। অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে আব্বাস। তবে এই ঘটনার পর থেকেই আব্বাস বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর তিনি বলছেন। আমি মারতে চাইনি। রাগের মাথায় এমন ঘটে গিয়েছে। আমাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।