ছেলে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে, পাত্র দেখে বৌমার বিয়ে দিলেন শ্বশুর
ঠিক যেন রুপোলি পর্দার চিত্রনাট্য। বৌমার বিয়ে দিলেন খোদ শ্বশুর। এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার ভবতারিণীর মন্দিরে এমন চিত্র ধরা পড়ল।
ঠিক যেন রুপোলি পর্দার চিত্রনাট্য। বৌমার বিয়ে দিলেন খোদ শ্বশুর। এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার ভবতারিণীর মন্দিরে এমন চিত্র ধরা পড়ল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার গ্রামের অমিত মাইতি গতবছরের ডিসেম্বর মাসে মহীশূর থেকে মহীশূর-হাওড়া এক্সপ্রেসে মারা যান। অমিত কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ভুবনেশ্বরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারপর প্রায় সাত মাস নিজের মেয়ের মতোই মুকুন্দ মাইতি বৌমাকে বাড়িতে রেখেছিলেন।
অবশেষে নিজ উদ্যোগে পাঁশকুড়া ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর পাটনা এলাকার বাসিন্দা স্বপন মাইতির সঙ্গে তার বৌমার বিয়ে দিলেন মুকুন্দ মাইতি। পাঁশকুড়ার ভবতারিনী মন্দিরে সেই বিয়ে হয়। পাশাপাশি বৌভাতও হল সেখানেই।
মেনুতে ছিল মাছ,মাংস, চিংড়ি পোস্ত থেকে দই, মিষ্টি সব। চারিদিকে আলোর রোশনাইয়ের মাঝে চোখের জলে বৌমাকে বিদায় দিলেন মুকুন্দ। যদিও বৌমা উমা মাইতি বলেন, উনি আমার শ্বশুর মশায় নন স্বয়ং আমার বাবা। নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এই দিনেগুলো কথা আমি কখনই ভুলবো না।
উমা আরও বলেন, একটা সময় যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল, নিজের মেয়ের মতন আমায় আগলে রেখেছিলেন। সাহস জুগিয়েছিলেন, প্রেরণা জাগিয়েছিলেন। এই ভালোবাসা ভোলার নয়।