বাবা ছিন্নভিন্ন রেললাইনে, মেয়ের দেহ ৫০ কিমি দূরে! এক ধাক্কায় উভে গেল সব ‘স্বপ্ন’
দক্ষিণ দিনাজপুরে চিকিৎসা করাতে না পেরে ছেলেকে জলে ডুবিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা। আর উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহেও ঘটল তেমনই এক কাণ্ড।
দক্ষিণ দিনাজপুরে চিকিৎসা করাতে না পেরে ছেলেকে জলে ডুবিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা। আর উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহেও ঘটল তেমনই এক কাণ্ড। এখানে বাবা-মেয়ের মৃত্যু হল ট্রেন লাইনে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি নিছক দুর্ঘটনা তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।
খড়দহে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাবার। আর তাঁর কোলে থাকা শিশুকন্যা ইঞ্জিনের ক্যাটেল গার্ডে আটকে চলে গিয়েছে ৫০ কিলোমিটার দূরে। রানাঘাট স্টেশনে ইঞ্জিনের ক্যাটল গার্ড থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির মরদেহ। প্রাথমিক অনুমান, মেয়েকে কোলে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিশ্বরূপ দে।
সকালে খাবার খেয়ে বাবার কোলে চেপে ঘুরতে বেরিয়েছিল মাস ছয়েকের ধৃতিস্মিতা। বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছিল ধৃতিস্মিতা। উচ্চশিক্ষিত হয়েও বাবা-মার কর্মজীবনে সাফল্য অধরা ছিল। তাই সংসারে অভাব ছিল, অনটন ছিল। ছিল স্বপ্নও। কিন্তু সেই স্বপ্ন এক লহমায় নিঃশেষ।
এদিন লালগোলা এক্সপ্রেসের সামনে পড়ে সব স্বপ্ন শেষ। খড়দহে পড়ে রয়েছে বাবা বিশ্বরূপ দে-র ক্ষতবিক্ষত দেহ, আর ধৃতিস্মিতার দেহ চলে গিয়েছে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে রানাঘাটে। বিশ্বরূপের দেহ উদ্ধারের পরই মেয়ের খোঁজ শুরু হয়েছিল। তারপর সেই দেহ মিলল ট্রেন ইঞ্জিনের ক্যাটল গার্ডে।
[আরও পড়ুন:নিজের হাতে ছেলেকে পুকুরে ডুবিয়ে খুন, তারপর আত্মঘাতী, কারণ জানলে শিউরে উঠবেন]
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিশ্বরূপের সংসার চলে টিউশন করে। তবে তা নিয়ে ঘরে কোনও অশান্তি ছিল না। বরং সদ্ভাবই স্বামী-স্ত্রীর। পড়শিদের সঙ্গেও মিষ্টি ব্যবহার ছিল বিশ্বরূপ ও তার স্ত্রী। মেয়ে ধৃতিস্মিতাকে নিয়ে স্বপ্নও ছিল। কিন্তু কোথা দিয়ে কী হয়ে গেল, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা সে প্রশ্ন রেখে চলে গেল বাবা-মেয়ে।
[আরও পড়ুন:অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড, অশরীরী-আত্মার কাজ নয় তো! রাত নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করছে গ্রামে]