জোটের জট মিটল না কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও, গণতান্ত্রিক শক্তিকে একজোট হওয়ার বার্তা সিপিএমের
কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি : পলিটব্যুরোর বৈঠক শেষ। শেষ দুদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকও। তবুও জোটের জটিলতা কাটল না। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-বাম জোট হচ্ছে কি না তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়ে গেল বাম শিবিরে। তবে জোট হোক বা না হোক, তৃণমূল বধই একমাত্র লক্ষ্য বামেদের। আর সেই কারণেই গণতান্ত্রিক শক্তিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিল সিপিএম।
পলিটব্যুরোর বৈঠকে বাম-কং জোট নিয়ে কোনওরকম সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি নেতৃত্ব। আর তাই বল গিয়েছিল কেন্দ্রীয় কমিটির কোর্টে। সেখানেও সমস্যার সমাধানসূত্র বেরলো না। কেন্দ্রীয় কমিটি ফের বল ঠেলে দিয়েছে রাজ্য সিপিএম-এর কোর্টে।
এদিন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও সেই একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বেরিয়ে এল। কেরল লবির চাপে জোরা সরাসরি মত দিতে পারল না কেন্দ্রীয় কমিটি। তাই অবলম্বন করা হল মধ্যপন্থা। রাজ্য কমিটির উপরই ছাড়া হল সমঝোতার বিষয়টি। জোটের প্রস্তাব যদি কংগ্রেসের তরফে আসে, তবে আলোচনায় বসা হবে। তবে সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম-এর উপরই ছেড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তবে শুধু আলোচনায় বসা মানেই জোট যে হচ্ছেই তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কংগ্রেস কোন কোন শর্তে জোট চাইছে তাও আলোচনা সাপেক্ষ। কটি আসনে লড়তে চায় কংগ্রেস, কোন কোন আসনে লড়তে চায় তার উপর নির্ভর করবে জোট অঙ্ক।
তবে, জোটের আসল উদ্দেশ্যই হল "তৃণমূলকে হঠাও, বিজেপিকে সরাও"। আর তাই জোট হোক না হোক, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে একজোট হওয়ার বার্তা আবারও একবার তুলে ধরতে চলেছে সিপিএম। সমস্ত গণতান্ত্রিক দলকে এক হওয়ার ডাক দেওয়া হল।
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর, সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন সীতারাম ইয়েচুরি জানান, "তৃণমূল-বিজেপির আঁতাঁত রয়েছে। সারদা তদন্ত থেকেই তা স্পষ্ট। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানোই আমাদের লক্ষ্য। সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির থেকে সহযোগিতা চাইব। রাজ্যে বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির জোট হবে।"
বিমান বসু আগেই কংগ্রেসের দিকে বল ঠেলে বলেছিলেন কংগ্রেস প্রস্তাব দিলে বামেরা আলোচনায় বসবে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর সেই একই পথে হাঁটলেন সীতারাম ইয়েচুরি। কেরল লবির চাপ থাকলেও গণতান্ত্রিক শক্তিকে আহ্বাণ জানিয়ে মূলত কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার পথই পরোক্ষে খোলা রাখার ইঙ্গিত দেওয়া হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।