বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চাষিদের বিশেষ সুবিধা প্রদান রাজ্য সরকারের
সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষিজমি থাকা সত্বেও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল কৃষকরা। বহু বছর ধরে লক্ষ্য করা গিয়েছে যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকার ফলে এপার বাংলায় বাড়িঘর এর পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও আছে তাদের কৃষিজমি। কিন্তু সীমান্তের গেটে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের ভয়ে রাঙানিরা মাঝেই মধ্যেই তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে গিয়ে জমি চাষবাস করে ফসল ফলিয়ে নিজেদের ঘরে তুলে আনতে হত। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামের কৃষকদের প্রায় সমস্ত ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হত তারা।
এবার থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির কৃষকদের উন্নতমানের উচ্চ ফলনশীল গম চাষে সহায়তা করতে কৃষি দপ্তরের মাধ্যমে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে থাকা কৃষকদের জমিতে কর্ষনহীন জিরোটিলেজ পদ্ধতিতে গম চাষের প্রশিক্ষন দেওয়া হল হেমতাবাদ ব্লক কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে। বিষ্ণুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বারোই গ্রামে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে থাকা কৃষকদের জমিতে হাতেকলমে তাদের প্রশিক্ষন দিলেন হেমতাবাদ ব্লকের কৃষি অধিকর্তা দিব্যেন্দু দাস।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারত-বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ার সীমান্ত ২২৭ কিলোমিটার জেলায় নটি ব্লকের মধ্যে সাতটি ব্লকেই আছে আন্তর্জাতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমানা। এই ব্লকগুলির সীমান্তবর্তী গ্রামের বহু কৃষকের চাষের জমি পড়েছে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে। এইসব সীমান্তবর্তী গ্রামের কৃষকদের চাষবাসের উন্নতি ঘটাতে উদ্যোগী হল রাজ্যের সরকার।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাইসি, বিষ্ণুপুর, চৈনগর গ্রামের কৃষকদের কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে থাকা চাষের জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে গম চাষ প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হল। হেমতাবাদ ব্লক কৃষি দপ্তরের কৃষকেরা অনেক বেশি লাভবান হবেন বলে জানালেন হেমতাবাদ ব্লক কৃষি অধিকর্তা দিব্যেন্দু দাস। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে খুশী সীমান্তবর্তী গ্রামের কৃষকরা।