মমতার জেদের কারণেই কেন্দ্রের ৮,৪০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত বাংলার কৃষকরা, তোপ রাজ্যপালের
মমতার জেদের কারণেই কেন্দ্রের ৮,৪০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত বাংলার কৃষকরা, তোপ রাজ্যপালের
আমফান হোকা বা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বীমার টাকা, প্রতি ক্ষেত্রেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। এবার কেন্দ্র সরকারের ডাইরেক্ট বেনিফিটের টাকা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে বেনজির আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তাঁর সাফ বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জেদের কারণেই একাধিক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সমগ্র রাজ্যবাসী। সুবিধা পাচ্ছেন না রাজ্যের কৃষকেরাও।
|
মমতার জেদেই বঞ্চিত বাংলার কৃষকেরা
এদিন একটি টুইট করেই কৃষকদের জন্য প্রদত্ত কেন্দ্রের ডাইরেক্ট বেনফিটের অর্থসাহয্য নিয়ে মমতার সরকারকে বিঁধালেন রাজ্যপাল। যে নিয়ে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিন ওই টুইটবার্তাতেই রাজ্য সরকারকে শূলে চড়িয়ে রাজ্যপাল লেখেন, " মমতা প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই কেন্দ্র সরকারের দেওয়া ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পেল না বাংলা। যদি তা আজ বাংলার ভাঁড়ারে আসতো তাহলে প্রতিটা কৃষকের অ্যাকাউন্টেই আজ ১২ হাজার টাকা করে জমা পড়ত। "
|
দীর্ঘদিন থেকেই একই অভিযোগে সরব বঙ্গ বিজেপি
শুধু তোপ দাগাই নয়, মমতা ব্যানার্জির টুইটার হ্যান্ডলকেও নিজের টুইটের সঙ্গে এদিন মেনশন করতে দেখা যায় রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই টুইটটি বেশ কিছুবার রিটুইটও করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। যার জেরে তীব্র জল্পনা ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। এদিক রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে কেন্দ্রীয় গ্রহণে মমতার অনীহা রয়েছে, যার ফল ভোগ করছেন বাংলার মানুষেরা। দীর্ঘদিন থেকেই এই অভিযোগ করে আসছে বঙ্গ বিজেপি। এবার কার্যত সেই একই সুরে সুর মেলালেন রাজ্যপাল।
পাল্টা তোপ দাগে ঘাসফুল শিবিরও
যদিও রাজ্যপালের এই টুইটের পরেই পাল্টা তোপ দাগতে দেখা যায় তৃণমূলের একাধিক প্রথমসারির নেতত্বকে। রাজ্যপাল হিসাবে জগদীপ ধনকড় তার সীমা-পরিসীমা ও দায়বদ্ধতা ভুলে যাচ্ছেন বলেও কড়া সমালোচনা করে ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের সময় কেন্দ্র প্রদত্ত ত্রাণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। এমনকী এর আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিমার টাকা না নেওয়ারও অভিযোগ তুলতে দেখা যায় তাকে।
জগদীপের তোপের মুখে রাজ্য-পুলিশও
এদিকে শুধুমাত্র রাজ্য প্রশাসন নয়, এদিন রাজ্যপালের তোপের মুখে পড়ে রাজ্য-পুলিশও। পুরনো মামলার প্রসঙ্গ টেনে এদিন বর্তমান এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। ২০০৭ সালে রিজওয়ানুর রহমানের মৃত্যু মামলায় নাম জড়িয়েছিল জ্ঞানবন্ত সিংয়ের। কিন্তু পরবর্তীতে সেই তদন্ত আর বেশি দূর এগোয়নি। বর্তমানে রাজ্যপালের অভিযোগ, সব জেনে শুনেও বর্তমানে সরকারের নির্দেশেই কার্যত চুপ করে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি।
অধীর চৌধুরী বিজেপির সব থেকে বড় এজেন্ট! গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে কীভাবে কাজ, 'ফাঁস' করলেন কল্যাণ