অনাহার ক্লিষ্ট বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের তিনজনে একসঙ্গে জানালেন স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন
অনাহার আর অসুস্থতার নাগপাশ থেকে বাঁচানোর আবেদন করেছেন। আর তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মঞ্জুর করা হোক।
অনাহার আর অসুস্থতার নাগপাশ থেকে বাঁচানোর আবেদন করেছেন। আর তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মঞ্জুর করা হোক। তিলে তিলে মৃত্যু পথযাত্রী একটি পরিবার এমনই করুণ আকুতি জানাল প্রশাসনের কাছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতের বাণী নিকেতন রোডের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী, বারাসাত পুরসভার পুরপ্রধান সহ প্রসাশনিক আধিকারিকদের কাছে।
তিন সদস্যের পরিবার জীবনের লড়াইয়ে হার মেনে শেষ ভরসা হিসেবে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। একদা সম্ভ্রান্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও তাঁদের পঞ্চাশ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে এখন জীবনের লড়াই লড়ছেন। মা ও বাবা অশীতিপর কমল বন্দ্যোপাধ্যায় (৮২) ও গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় (৭৬)। মেয়ে গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়।
বারাসাত শহরের প্রাণকেন্দ্রে থেকেও তাঁরা অসহায়। ঔষধ পথ্য দূরস্থান তাঁদের গত কয়েক বছর ধরেই দুমুঠো ভাত জোটে না। অথচ রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স ও সংগীতে পিএইচডি করা গার্গী ছোটদের পড়ানোর পেশাগত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
তবে না আছে চাকরির প্রতিশ্রতি, না আছে অর্থ। প্রায়শই দু'বেলা ভাত জোটে না। মুড়ি-বিস্কুট খেয়ে থাকতে হয়। এক স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার কর্ণধার শ্যামলকৃষ্ণ সরকার এগিয়ে এলেও হাত পাততে নারাজ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার।
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ না হলে আত্মাহুতিই দিতে চান তিনজনে। এখন দেখার প্রশাসন কী ব্যবস্থা করে।