বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে বড়সড় কেলেঙ্কারি ফাঁস কলকাতায়! প্রতারিত খোদ সাংসদ মিমি
করোনার বিরুদ্ধে যখন লড়াই তখন কলকাতার বুকে বড়সড় কেলেঙ্কারি ফাঁস! ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প খুলে বড়সড় প্রতারণা। প্রতারিত খোদ অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। গ্রেফতার জয়েন্ট কমিশনারের ভুয়ো পরিচয়পত্র সহ গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেব
করোনার বিরুদ্ধে যখন লড়াই তখন কলকাতার বুকে বড়সড় কেলেঙ্কারি ফাঁস! ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প খুলে বড়সড় প্রতারণা। প্রতারিত খোদ অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। গ্রেফতার জয়েন্ট কমিশনারের ভুয়ো পরিচয়পত্র সহ গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি।
নিজেকে প্রশাসনের বড় কর্তা বলে পরিচিয় দিতেন সব জায়গাতে। এমনকি নিজেকে একজন আইএএস বলেও পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টিকাকরন কেন্দ্র খুলেছিলেন দেবাঞ্জন
নিজেকে পুরসভার বড় অফিসার বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে টিকাকরন কেন্দ্র খুলেছিলেন দেবাঞ্জন। সেখানে টিকা নিতে আসেন খোদ অভিনেত্রী মিমি। শুধু তাই নয়, তাঁর উদ্যোগে আরও ২৫০ জন বয়স্ক মানুষকেও এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কিন্তু পড়ে ফাঁস হয় সমস্ত কেলেঙ্কারি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও সার্টিফিকেট না দেওয়াতে সন্দেহ হয় লোকজনের। এরপরেই বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়। এমনকি পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সমস্ত ছক ভেস্তে যায় দেবাঞ্জনের। জানা যায়, প্রশাসন কিংবা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই চলছিল এই ক্যাম্প।
সার্টিফিকেট না আসাতে খটকা লাগে!
এই প্রসঙ্গে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলাতে মিমি চক্রবর্তী জানান, আমার কাছে এই বিষয়ে আমন্ত্রণ আসে। বলা হয়, পুরসভার জয়েন্ট কমিশনারের উদ্যোগে ভ্যাকসিন ক্যাম্প খোলা হয়েছে। মূলত থার্ড জেনারেশন, স্পেশাল চাইল্ডদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তখন আমি বলি, অবশ্যই আসব। আমার আসাতে যদি ওঁরা অনুপ্রেরিত হন, আমি নিশ্চয়ই গোটা বিষয়টি প্রোমোট করব। আমি নিজেও ওখানে ভ্যাকসিন নিই। আমার কোনও মেসেজ আসে না। আমি ভাবলাম চলে আসবে। কিন্তু এরপর আমার অফিসের লোকজন গিয়ে ফের সার্টিফিকেট চাইলে টা দিতে পারেনি। তখনই বিষয়টি নিয়ে আমার খটকা লাগে! সঙ্গে সঙ্গে পুরো প্রসেসটা বন্ধ করতে বলি। প্রশাসনের সাহায্যে এরপর ওই অভিযুক্তকে মিমি গ্রেফতার করান। আর এরপরেই ফাঁস হয় বড়সড় প্রতারণা চক্র।
দেবাঞ্জনকে ঘিরে রহস্য!
নিজেকে প্রশাসনের বড়সড় আধিকারিক হিসাবে পরিচিয় দিতেন দেবাঞ্জন। বডি গার্ড নিয়ে ঘুরতেণ। এছাড়াও গাড়িতে লাগানো বিশ্ব বাংলার পতাকা। লাল বাতি। দিনের পর দিন কীভাবে দেবাঞ্জন চলতেন টা ভাবাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকদের। দেবাঞ্জনকে ঘিরে বড়সড় প্রতারণার ছক ছড়িয়ে রয়েছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দেবাঞ্জনকে। কোথা থেকে এল এত টিকা? সেটাও ভাবাচ্ছে আধিকারিকদের। এমনকি, পুরসভার লোগো কীভাবে ব্যবহার করা হল সেটাও ভাবাচ্ছে আধিকারিকদের।
টিকাগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে
বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে টা নেওয়া হয়নি। কীভাবে এই ভ্যাকসিন এল সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা ভ্যাকসিনগুলিকে পরীক্ষার জন্যেও পাঠানো হচ্ছে ল্যাবে।