কুণাল-কাণ্ডের জের, 'চাকরি' খোয়াতে পারেন কারামন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি
আরও পড়ুন: কুণাল নিজে ঘুমের ওষুধ খেলেন নাকি জোর করে খাওয়ানো হল, উঠছে প্রশ্ন
শুক্রবার ভোরে প্রেসিডেন্সি জেলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন কুণাল ঘোষ। কীভাবে মুঠো মুঠো ঘুমের ওষুধ জেলের ভিতর পৌঁছে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারামন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি নিজের দফতরের অকর্মণ্যতার কথা স্বীকার তো করেনইনি, উল্টে বলেন, কুণাল ঘোষ নিজেই হেঁটে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্যে সমালোচনা শুরু হয়। বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রী নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, হায়দর আজিজ সফিকে সরিয়ে দেওয়া হবে পদ থেকে। কারণ, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে বলেন যে, পাহারা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে জেলে ঘুমের ওষুধ পৌঁছল, এটা সত্যিই খতিয়ে দেখতে হবে।
অন্যদিকে, মালদহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, অন্যদিকে সাবিত্রী মিত্র। কৃষ্ণেন্দুবাবু রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী। আর সাবিত্রী মিত্রের হাতে এই মুহূর্তে কোনও দফতর নেই। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী এঁদের ডেকে বারবার বলেছিলেন, মালদহে যেন দলীয় কোন্দল বন্ধ হয়। কিন্তু তা হয়নি। ফলে বিরক্ত হয়ে তিনি এই দু'জনকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেবেন বলে খবর।