জতুগৃহ হাওড়া, অগ্নিবিধি না মেনেই ঘিঞ্জি এলাকায় গজিয়ে উঠছে কারখানা, অভিযোগ দমকলমন্ত্রীর
হাওড়ায় পর পর অগ্নিকাণ্ড। প্রশ্ন উঠে গেল কারখানা গুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে। ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যেই গায়ে গায়ে অনেক কারখানা গজিয়ে ওঠাতেই বিপত্তি বলে মনে করছে দমকল।
হাওড়া, ১৪ ডিসেম্বর : হাওড়ায় পর পর অগ্নিকাণ্ড। প্রশ্ন উঠে গেল কারখানা গুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে। ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যেই গায়ে গায়ে অনেক কারখানা গজিয়ে ওঠাতেই বিপত্তি বলে মনে করছে দমকল। খোদ দমকল মন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে অগ্নিবিধি মানা হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন দমকলকে। হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী আশ্বাস দিলেন, অগ্নিকাণ্ড ঠেকাতে প্রয়োজানীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগে হাওড়ার তেলকল ঘাট রোডের প্লাস্টিক কারখানায়। পাশাপাশি অন্যান্য কারখানাগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। কেন বারবার হাওড়ার ফোরশোর রোড, তেলকলঘাট রোড চত্বরে আগুন লাগছে? তবে কি কারখানাগুলিতে অগ্নিবিধির কোনও বালাই নেই। কারখানাগুলি করার অনুমোদন পেল কী করে তা নিয়েওপ্শ্ন উঠে গিয়েছে।
হাওড়া পুরসভার মেয়র এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। মঙ্গলবার রাতে হাওড়ায় অগ্নিকাণ্ড পরিদর্শনে এসে দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় অগ্নিবিধি মেনে হাওড়ার কারখানাগুলি লছে বলে অভিযোগ করে গিয়েছেন? তা খতিয়ে দেখতেও নির্দেশ দিয়েছেন দমকলকে। পাশাপাশি পুরসভাকে বলেছেন, কেন এত ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে একটার পর একটা কারখানা গজিয়ে উঠেছে, তা খতিয়ে দেখুন। রথীনবাবু বলেছেন, অগ্নিকাণ্ড ঠেকাতে আমরা সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ্য এই সাতদিনে ফোরশোর রোড থেকে শুরু করে হাওড়া ও সাঁতরাগাছি এলাকায় সাতটিরও বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শুধু কারখানা নয়, বাজারগুলিও জতুগৃহ হয়ে রয়েছে। আগুন লেগেছে ঐতিহ্যশালী হাওড়া টাউন হলেও।